সাধ ছিল জন্মাবধি
দেখতে যাব অজয় নদী
দেখতে যাব জয়দেবের মেলা।
সেই মত সুযোগ খুঁজি
দেখি কেউ  যায় বুঝি
সুযোগ পেলে করবো না অবহেলা।।
সত্যি শেষে সুযোগ এলো
"নিয়ে যাব"-একজন বলে গেল
যাওয়াও হলো কোচ বাসের দ্বারা।
সারা রাত্রি  বাস চলে
পৌছিলাম প্রভাত কালে
গাড়ী  দেখে আমি যে দিশাহারা।।
চারিদিকে গাড়ী থৈ থৈ
চারিদিকে লোকের হৈচৈ
কুলু কুলু বহে অজয়ের ধারা।
লোহিত রঙা পুব আকাশ
পৌষ মাসে শীতল বাতাস
সময় মত শৌচকর্মও হল সারা।।
স্নান করে কদম্বীর ঘাটে
মস্তক ঠেকায় জয়দেব ভিটে
প্রসাদ নিয়ে মহা আনন্দে ঘুরঘুর।
চারিদিকে  সাধুসন্ত
নাঙ্গাবাবা তন্ত্র মন্ত্র
আখড়ায় শুনি বাউল গানের সুর।।
পালাকীর্তন, ভাগবৎ কথা
শ্রবণ করি যথাতথা
মেলা প্রান্তর লোকে লোকারণ্য।
দুচোখ ভরে দেখার মত
দেখে নিলাম মনের মত
নিজেই নিজে হলাম অতি ধন্য।।
অজয় নদীর পূর্ণ আশ
মনের যত অভিলাষ
আজি সফল আমার মনো কামনা।
দেখা হল জয়দেব মেলা
এবার ঘরে ফিরার পালা
পূর্ণ হল জয়দেব-কেন্দুলির বাসনা।।



আমার আজকের কবিতা"অজয় তীরে জয়দেব মেলা" আসরের শ্রদ্ধেয় প্রিয় কবি লক্ষ্মণ ভান্ডারী মহাশয়ের চরণ কমলে উৎসর্গ করলাম।