তুমি আমার পুরোনো দিনের বর্ণলতা,
আমার মনে বাড়তো তোমার স্বর্ণলতা।
সবুজ সবুজ পত্রে তোমায় আঁচড় টেনে,
মনের কথা লিখে দিতাম সংগোপনে।
হৃদয় ভরে সাজিয়ে নিতাম স্মৃতি দিয়ে,
নিজের নামটা লিখে দিতাম ইতি দিয়ে।
ভাঁজে ভাঁজে মুড়ে দিতাম যত্ন করে,
প্রাপকের নাম ঠিকানা জুড়ে দিতাম ঠিক উপরে।
স্নেহ ভালবাসায় মোড়া পত্র খানি,
বক্সে ফেলার আগে বুকে নিতাম টানি।
কোথায় হয়ে কোথায় গিয়ে শেষ ঠিকানায়,
পৌচ্ছে যেতেই উদাস করা ঐ সীমানায়।
অপেক্ষারই প্রহর গুনে দিন হতো পার,
জবাব হয়ে আসবে যেন মণি মুক্তো হার।
আসবে যেন বলাকার ঐ শুভ্র ডানায়,
পিয়ন এলেই মনে খুশীর নীল সীমানায়।
খোলার আগেই ভাবনা গুলো এলোমেলো,
উড়িয়ে দিতো ঝড় ঝাপটার স্মৃতি ধুলো।
যত্ন করে খুলতাম যেন কাঁচের পুতুল,
হৃদয় মাঝে উঠত তুফান একূল ওকূল।
প্রেরক যেন ঢুকে গেল আমার ভীতর,
পড়তাম যেন তারই কথা-ভাষা তারই স্বর।
ভালবাসা পাঠিয়েছে সে খাঁটি নিখাদ,
তাইতো, বার বার পড়েও মিটতো না স্বাদ।
এলো যবে মুঠো ফোনের আহামারি,
তুমিও বিলুপ্ত হলে আমায় ছাড়ি।
তোমায় কি আর পাবো ওরে যত্রতত্র,
তুমি হারিয়ে যাওয়া 'অন্তর্দেশীয় পত্র'।