পরাধীনতার যন্ত্রনাতে
কাতর হয় মন প্রাণ,
মুক্ত করতে এগিয়ে আসে
বিপ্লবী ধ্যান জ্ঞান।
বাংলার এক দামাল ছেলে
লেখে নাম বিপ্লবী খাতায়,
ভারত মায়ের রক্ষা করতে
দায়িত্ব নেয় নিজ মাথায়।
কিংসফোর্ডকে মারতে হবে
খুঁজো সে বিপ্লবী নাম,
সগৌরবে এগিয়ে আসে
বিপ্লবী বীর ক্ষুদিরাম।
দৈবদোষে একটু ভুলে
মারে সে ইংরেজ নারী,
অবলীলায় করে দোষ স্বীকার
মৃত্যুদণ্ডের ভয় ছাড়ি।
অবশেষে হলো সাজা ঘোষণা
রায় হলো তার ফাঁসি,
ভারত মায়ের জয়গান গেয়ে
ফাঁসির মঞ্চে ছড়ালো হাসি।
চোদ্দো বছরেই সংগ্রামী হয়ে
আঠারো বছরে মৃত্যুবরণ
আজকে তাহার শহীদ দিবসে
প্রণাম জানিয়ে করি স্মরণ।