তাহার সাথে হঠাৎ দেখা ঝালদা হাটে,
দাঁড়িয়ে ছিল পাশে আরো একটি নারী,
থাকছে এখন কদিন ধরেই বাঁধা ঘাটে,
দুজন মিলে কিনতে ছিল তাঁতের শাড়ি।


প্রথম দেখেই চিনে ছিলাম তাহার চোখে
তবু যেন ঠেকতে ছিল অবিশ্বাসে
সবারই তো কাপড় বাঁধা নাকে মুখে
চিনেই কিন্তু ফেটে পড়ি উচ্ছাসে।


শেষ দেখাটি হয়েছিল কৃষ্ণ সায়ের
শপথ ছিলে জীবন গড়ার ঠোঁটে ঠোঁটে
আমার গৃহে পড়লো না তার চিহ্ন পায়ের
তার পরেও তো সাতটি বছর গেছে কেটে।


শুনেছিলাম স্বামীটা তার শিল্পপতি
সুখী হলো এমন যেন সোনায় মোড়া
একটি বারও ভাবলো না সে আমার ক্ষতি
কেমন করে বেঁচে গেলাম তাকে ছাড়া?


ছোট একটা চাকরি নিয়েও সুখী হলাম
ঘরে এলো সাধারণ এক চাঁদের কণা,
পুত্র কন্যায় সুখী, নয়তো বউ এর গোলাম,
পূরন করলো ভালোবাসার সকল দেনা।


আমার ছাড়ো। সে কেন আজ এই শহরে,
গায়েও কেন সাধারণ এক সুতীর শাড়ি,
অনুপস্থিত সিঁদুর কেন সিঁথির পরে?
হাতেও তো নেই কোন প্রকার সাঁখা চুড়ি!


কতরকম দুঃশ্চিন্তায় ঘিরছে মাথা
হৃদয় মাঝেও উঠছে যেন সহস্র ঝড়
বাম অলিন্দে বুঝতে পারছি তীক্ষ্ণ ব্যাথা
সেও তো আমার জীবন থেকে নয় যে পর।


এই সময় এক অভাবনীয় কান্ড হলো
কাছে এসে দাঁড়ালো আমার হাতটি ধরে
মনে-হলো তার ব্যথা যেন আমায় দিলো
বলে গেল "আমায় নিয়ে ভাবিস না রে"।