"শ্রদ্ধাঞ্জলি"
=======


মাগো তোমার চরণে শিষ নত করে
কিছু লিখছি কাব্য কথা,
এ গীতি কথায় তোমারই গানে
তোমারই সুখ দুঃখ ব্যথা।
জানি মা জানি কত সয়েছো দুঃখ
আমারে রাখিতে ভাল,
নিজেকে তুমি উজাড় করে দিয়ে
দিয়েছো জ্ঞানেরও আলো।
অসুখে বিসুখে শিয়রে জেগে জেগে
কতই যে কেটেছো রাত,
তবু সয়ে গেছো মোদের যাতনা সব
দিয়েছি কতনা প্রতিঘাত।
তোমার মুখের গ্রাস ছিনে নিয়েছি
কত, অবোধ বাল্যকালে,
তবুও তুমি সুখ দিতে চেয়ে মোদের
দুঃখ সয়েছো অবহেলে।
আজ আমি যত লিখি কাব্য কবিতা
এ সব তোমার মুখের বুলি,
আমার যত গান তোমারই  তরে মা
উৎসর্গেরও শ্রদ্ধাঞ্জলি।
            ----*----


"ঋণী"
====


আজকে আকাশে বাতাসে ধ্বনিছে
মা,মা,মা,মা,মা,
মায়ের কথায় কাব্য হারায়
মায়ের নাইরে তুলনা।
মায়ের কথায় কলমও অবাধ
গতিরোধ হয় না,
কোরা কাগজের পাতায় পাতায়
প্রজাপতি মেলে ডানা।
গর্ভকালের নয়টি মাসের
কতনা যাতনা ব্যথা,
প্রাণ টানাটানির প্রসব বেদনা
লেখায় না সব কথা।
ছয়টি মাসের জীবন আমার
তোমার বুকের দুধে,
সে দুধের ঋণ চুকাতে কি কেহ
পেরেছে আসলে সুধে!
আমার চলার শুরুতে তুমিও
কতনা হেসেছো প্রাণে,
হোঁচট খেয়ে পড়েলে তুমিই
কষ্ট পেয়েছো মনে।
আমার মুখে গ্রাস তুলে দিতে
তুমিতো রয়েছো ভুখা,
আজকে আমার কাব্য গীতিতে
সে কথায় থাক লেখা।
তুমি মা আমর তপন শশী
আমার রজনী দিন,
কভু সুধতে পরবো না মা
তোমার দুধের ঋণ।


আজ মাতৃ দিবসে পৃথিবীর সমস্ত "মা"দের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করলাম।
আসরের সমস্ত শ্রদ্ধেয় কবি, কবি বন্ধু,ও সুধী পাঠক পাঠিকাদের প্রতি সহস্র শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানালাম।


বি. দ্র. সহধর্মিণীকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছি সময়ভাবে ও নেটওয়ার্কের অসুবিধায় করো পাতায় যেতে না পারলে নিজ গুনে ক্ষমা করবেন এই আশাই রাখি। কারণ স্ত্রী'র কনুয়ের কাছে মাংসপিন্ড শক্ত হয়েছে যা ছোট্টো একটা অপারেশন করতে হবে।আগে "সেবা ব্যবসা" কবিতাই উল্লেখ করেছিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ।