ষষ্ঠীর দিনে জন্ম তোমার
নাম হলো তাই ষষ্ঠী,
কন্যা জন্ম অপরাধে নামে
নির্যাতনের বৃষ্টি।
তাচ্ছিল্য আর অবহেলাতেই
যদিও যুবতি হলে,
কোন রকম এক পাত্র দেখে
বাপে বিদায় দিলে।
ভাগ্যে যার নেইকো সুখ
কোথায় গেলে পাবে,
জরাজীর্ণ ও রুগ্ন স্বামী
কি করে খাওয়াবে।
পরের পর তিনটি কন্যা
জন্ম দিলে বউ,
শ্বাশ শ্বশুরে আছাড় মারে
নির্যাতনের ঢেউ।
তবু কোনরকমে টিকে ছিল
জীবনটাকে সেধে,
আইলার ঝড় নেমে এলো
স্বামীর মৃত্যু বিচ্ছেদে।
সুঁচ ফুটা আর আগুন ছেঁকা
কিছুই যায় না বাদ,
মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে
জীবনটা বরবাদ।
পথে পথে আজ ভিক্ষা করে
পেটের অন্ন জোটে,
দুর্দশা তার ছাড়ে নি পিছু
নতুন ঘটনা ঘটে।
দিনে দিনে পেট বাড়ছে তার
সবার লক্ষ্যে আসে,
কদিন পরেই জন্ম দিল
যমজ পুত্র শেষে।
হায় গো মাতা নিষ্ঠুর তুমি
এও কি সহ্য হয়,
সর্বহারায় সে কি দেবে আজ
পুত্রের পরিচয়।
সুশিক্ষিত এ সমাজ নাকি
সভ্যতার ছড়াছড়ি,
দুই পুত্র ধুলায় যেমন
মানবতার গড়াগড়ি।
আজ কী তোমার অস্ত্র ভোঁতা
শান নেই ত্রিশূলে,
নর পিশাচ হায়নাদেরকে
বধ করো সমূলে।
কেমন দুর্গতি নাশিনী তুমি
কেমন দয়াময়ী,
অসুর নিধনে তোমার দূর্গারা
হোক না আবার জয়ী।



সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত।
সুত্র-আনন্দ বাজার পত্রিকা (০৮/০৬/০৯)