আমার মনের রাজ্যে ‘নির্জনতা’ একঘন্টার একটি সভা করেছিল!


সে সভায় ‘হৃদয়ের দীর্ঘশ্বাস’ বলেছিল-
‘সবটুকু দিতে চেয়েছি যাকে
দিন শেষে সেই ভেঙ্গেছে বিশ্বাস’!


‘নিঃসঙ্গতা’ বেদনা বিধুর কণ্ঠে একখান মানপত্র পাঠ করলো
যার মূল সূর ছিল-
‘প্রেমের নাম বেদনা’!


‘কষ্ট’ তার সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করে বললো-
‘সব চাওয়া কি পাওয়া হয়? হয় না!'
তার পরামর্শ ছিল-
'কেউ যদি আপনার ভালোবাসার মূল্য না বুঝে
তবে নিজেকে নিঃস্ব ভাববেন না
জীবনটা এত তুচ্ছ না।'


‘আবেগ ও অনুভূতি’ একসূরে জ্ঞান দিলো-
‘ব্যর্থ মানুষের প্রত্যাশা বলে কিছু নাই
যদি কিছু থাকে তা হলো শুধু দীর্ঘশ্বাস’!


জীবনের ‘ঘাত প্রতিঘাত’ সভায় আক্ষেপ করে বলেছিল-
‘সবাই আপনার শ্বাস প্রক্রিয়া দেখে,
কিন্তু তার আড়ালে একটা চাপা দীর্ঘশ্বাস থাকে
সেটা কেউ দেখে না’!


‘হতাশা’ নিজের পক্ষে ওকালতি করে বলেছিল-
‘সে কিছুই করে না, শুধু আত্মার পবিত্রতাকে নষ্ট করে দেয়’!
সে উপদেশ দিলো-
‘নিজেকে ভালবাসুন, নিজেকে ভালোবাসতে পারলেই হতাশা মুক্ত জীবন পাবেন’।


'স্বপ্ন' তার বক্তব্যে বলেছিলো-
'স্মৃতি নয়, স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে শিখুন
স্মৃতি মানুষকে কষ্ট দেয়, মানুষকে কাঁদায়'।


'ধৈর্য' বলেছিল-
'সে-ই সাফল্যের মূল উপাদান
তাই যে কোন কাজে তার অপরিহার্যতা মনে রাখবেন।'


'হাসি' দাঁড়িয়ে হেসে বললো-
'হাস্যরত একজন মানুষের মুখে তার মনের ছায়া দেখা যায়'!
এই দেখুন 'আমি'
কত সুখী, কত নির্লোভী
আমার অন্তর ততটা বিশুদ্ধ যতটা সুখের জন্য অপরিহার্য!


‘বিশ্বাস’ সভাপতির আসন অলংকৃত করে বলেছিল-  
‘দীর্ঘশ্বাস থেকে যায়
হ্যাঁ সত্যি বলছি, দীর্ঘশ্বাসটা থেকেই যায়!'
বিশেষ করে কাছের মানুষটি বিশ্বাস ভাঙ্গলে কষ্টের চেয়ে 'অবাক' বেশি লাগে।
তাই বলে কি হাল ছেড়ে দিবেন, না তা নয়
তার পরামর্শ-
'নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন
আত্মবিশ্বাসী হউন
ওটাই আপনাকে সাফল্যের সিঁড়িটা দেখিয়ে দিবে,
বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।'
আসুন সবে 'আত্মবিশ্বাসী' হই!

রচনাকাল
০৯.০৫.২২