অনিন্দিতা
আমি তোমার চোখের অলিখিত ভাষা পড়ে
জেনেছি-
কেন রাত্রির নিস্তব্ধতা এত গভীর!
কেন বিষন্নতা এত গুরুগম্ভীর!
কেন ব্যথার পরিধি এত বড়সড়
কেন কষ্ট স্মৃতির পাতায় জমা করে কিছু ক্ষত!


মনের গহীনে অনুপ্রবেশ করে
এটাও দেখে এসেছি-
রোজ একটি করে গল্প লিখো তুমি
সে গল্পে
শব্দেরা মাতে সাজানো সংলাপে
অদৃশ্য অবহেলায় হৃদয়ের কান্না জমাও
আকাশে
ওই কালো মেঘের দেশে
যে মানুষটা তোমায় ভালোবাসে
গল্পের দৃশ্য পটে তারে রাখো উপহাসে!


এমন দৃশ্যপট কেন
আয়নায় দাঁড়িয়ে
নিজেকে যখন প্রশ্ন করি
নিষ্পাপ মুখ হাঁসি দিয়ে বলে-
নিজেকে ভালোবাসতে শেখ আগে!


আমি ভালোবাসতে শিখেছি
হৃদয়ে ভালোবাসার বীজ বুনে
সেথায় বস বাসের উপযোগী এক চিলেকোঠা সাজিয়েছি
কৃষ্ণচূড়ার তলে দাঁড়িয়ে
তার রঙীন রঙের ছোঁয়ায়
বুকের জমিন রাঙিয়ে নিয়েছি
ভালোবাসতে গেলে অপেক্ষার পরীক্ষা দিতে হয়
শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করার অভ্যাসটাও গড়েছি
নিজের সাথে অভিনয় করতে পারবোনা বলে
আড়ালে কান্নার পাঠ চুকিয়ে দিয়ে এসেছি
বুকে কষ্ট নেবার অসীম ক্ষমতা বাড়িয়েছি
তোমাকে পাওয়ার আকুলতা
এখনও বুকের মধ্যে সতেজ রেখেছি!
আমি তোমার চোখে চোখ রেখে
বলতে শিখেছি
ভালোবাসতে এসেছি!


রচনাকাল
১৪.১২.২১