কেমন করে বেঁচে আছি
একবারও খোঁজ নাওনি
পাহাড় সমান কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি
চাঁদনী রাইতে অনিশ্চয়তার সঙ্গে কথা বলে
নিজেকে নির্জনতার সঙ্গী বানিয়েছি
স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার যন্ত্রনা সহজে মেনে নিতে পারিনি
অবহেলার দাগ জীবনকে করে তুলেছে বিপন্ন
অনুভূতি গুলো প্রকাশ করতে পারিনা বলে
মধ্যরাতে কষ্টগুলো হয়ে উঠে বেহায়া
মন খারাপের রাতগুলো হয় খুব দীর্ঘ।
আমি বেশ ভালো করে জানি
আমার ভালোলাগা-মন্দলাগার থেকেও বেশি প্রয়োজন
তোমার নিজের ভালোলাগা-মন্দলাগা উপলব্দিতে নেয়া
কারণ, দিন শেষে তোমার মনের খোঁজটা আমাকেই নিতে হয়
চোখের পানি গুলো আমার গাল বেয়েই ঝরে পড়ে।
এখন আর কিচ্ছু ভালোলাগে না
অপেক্ষা জীবনকে মৃত্যুর মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছে
পৃথিবীতে একটা জিনিসকেই এখন বড্ড বেশি সত্য মনে হয়
তা হলো মৃত্যু
জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি গুলো বাতাসে বিলিয়ে দিয়েছি
হৃদয়, শরীর, মন শান্তির পরশ চাইছে
চায় একাকীত্বের শীতল স্পর্শ
এখন বুঝি প্রেমহীন জীবন অধিক ভালো।


রচনাকাল
২৯.১০.২২