নিরুপমা
অনেক দিন ধরেই তোমার কোন খোঁজ পাচ্ছি না
কেমন আছ তাও জানি না
কণ্টকিত এ মনে প্রশ্ন জাগে
এখনো কী রোজ সকালে তোমার ঘুম ভাঙে
এখনো কী বকুলের গন্ধে মন ভোলে?
ফুল কুড়াবার ছলে রোজ যে গাছটার নীচে কথা হতো দু'জনের
সংবাদ পেয়েছি গাছটি মরে গেছে পরিচর্যার অভাবে
সুখ পাখিটিও উড়ে গেছে সেই সুদুরে
এখন আর আমার ঘুম ভাঙেনা খুব সকালে
বেশ অলস বোধ করি শরীরে।
দাঁড় কাকটিও আর আসেনা আমার বেলকনিতে প্রতি প্রত্যুষে
হয়তো অন্যত্র হয়েছে তার ঠিকানা বেশ আহ্লাদে
সৌখিন বাদাম বিক্রেতা হারিচকেও আর দেখিনা রবীন্দ্র সরোবরে সকাল সাঁঝে
শুনেছি সেও নাকি নির্বাসনে গেছে মফশ্বলের শহরে
তোমার আমার স্মৃতিবিজড়িত জায়গাগুলোও চলে গেছে অন্যদের দখলে
সব কেমন যেন এলোমেলো
তবুও পড়ে আছি দুর্দিনের এই শহরে
শরীরটাও ভালো যাচ্ছে না বহুদিন ধরে
চেষ্টা করেছি তোমায় খোঁজ দিতে
১০১ খানা পত্র পাঠিয়েছি ঠিকানাতে
একটি রও উত্তর আসেনি হাতে।
অবাক হৃদয় ভাবছে
কোন অভিমানে সরে গেলে নীরবে
যতদূর মনে পড়ে
একটি নীল পদ্ম দিতে পারিনি বলে
বেশ রাগ করেছিলো কোন এক চৈত্রের সকালে
জান নিরুপমা!
এখন আর আমাকে নীল পদ্ম খুঁজতে হয়না
প্রতিদিন ১০৮ টি নীল পদ্ম ফোটে আমার হৃদয়ে
চাষ পদ্ধতি রপ্ত করেছি বিরহের জমিদারী বুঝে!
এখন আমি বিরহের এক খানদানী জমিদার
বুকে শুধু হারানোর হাহাকার!
তবুও জানতে ইচ্ছে করে নিরুপমা
এখনও কী তুমি নিজেকে সাজাও দ্রোপদীর সাজে
থাকো কী আমার অপেক্ষাতে সাঁঝের বাতি নিয়ে হাতে?


রচনাকাল
১১.১২.২০