তোর ছবিগুলি যদি একটা একটা করে ভেসে উঠে মনের ক্যানভাসে
বদলাবো না আমি নিজেকে
জানিয়ে রাখি তোরে।


তোর কথা গুলি যদি তীর হয়ে বিঁধে আমার বুকে
কষ্টগুলো থাকবে বোধহয় অধিক সুখে
বলে রাখি তোরে।


তোর হাসি গুলি যদি তীর ভাঙ্গা ঢেউয়ের মত আছড়ে পড়ে আমার চোখে
খোশমেজাজে আশ্রয় নিবো আমি উদ্বাস্তু ত্রাণ শিবিরে।


তোর ব্যথাগুলি যদি জেগে উঠে একটা একটা করে, দেখি ঘুমের ঘোরে
অবাধ্য মনটাকে বাধ্য করে বলবো যেন হেসে হেসে  লুকোচুরি খেলে তারার লগে।


তোর পায়ের পায়েল যদি ঝংকার তুলে আমায় না ডাকে
ঝিঁঝিঁপোকাদের ডাক শুনে শুনে আমি পৌঁছে যাব তোর বিশ্রাম ঘরে
জানিয়ে রাখি তোরে।


তোর শখ আহ্লাদ গুলি যদি আবার কখনো আমার কাছে নতুন কোন বায়না ধরে
সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিবো আমি
গড়তে তোর শখের প্রাসাদ বাড়ি।


তোর খোলা চুলগুলি যদি এলোমেলো বাতাসে উড়ে উড়ে আসে আমার বাড়ী
বানাবো না হয় আরেকটি বিস্ময়কর নায়াগ্রা জলপ্রপাত
সে সাধ্য আছে আমার
তোরে বলে রাখি।


তোর কণ্ঠধ্বনি যদি কোন এক নিশি রাতে দরজায় এসে আমায় ডাকে
পরবর্তী রাতগুলি কাটবে আমার নির্ঘুম ভাবে
জানিয়ে রাখি তোরে।


তোর চলার পথে হঠাৎ করে যদি বৃষ্টির রং কাদা মাখে
ভাবিস না রে তুই ঐ পথের একা যাত্রী
আমি তোর ছায়া সঙ্গী
দৃঢ় পদে হাঁটিস রে তুই
তোরে বলে রাখি।


তোর হাত যদি রাখিস রে তুই আমার হাতে
স্বপ্নগুলো জড়ো হবে এক মোহনাতে।


তোর ভাবনাগুলো বুঝে নিবে আমার হাতের আঙ্গুল
তোর আঙ্গুলের সাথে মিশে গিয়ে
জানিয়ে রাখি তোরে।


তোর গুণ গুলি যদি একটা একটা করে জমা করি
তিন তিনটা হিমালয় পর্বত হবে, বুঝি
যদি পিরামিড স্তরে সাজিয়ে তুলি।


তুই বুঝিস কী না বুঝিস
তোরে অনেক ভালোবাসি
আমি জানিয়ে রাখি।


রচনাকাল
২৪.০২.২১