"এই যে...!"
বউ গো!
"পাজি...!"
আজি?
"খেয়েছো?"
না একটু পরে, তুমি খেয়েছো?
"খেয়েছি।"
ভালো.....
আমার আঁধার ঘরের আলো;
আমি কি এতটাই পাজি!!
যে নাকি হারিয়ে ফেলি পাঁজি;
বুঝিনা কোনো দিন-ক্ষণ!
"না...। বুঝলাম না...?"
এই তো এলে; আরও থাকো না কিছু ক্ষণ!
ফাজলামি! আর কি এমন সুযোগ পাবো?
তোমারে জড়িয়ে করতে সব পাগলামি!
কিছু কি জমা আছে?
থাকলে এবার বিনা দ্বিধায় পুছো।
"না; আছি কথা বলো।"
কি বলবো সখী! আজ এই সময়ে-
শুধুই শ্রবণ করিতে আছি অপেক্ষমাণ,
ভালোই হতো; যদি দুষ্টুমির ছলে-
কিঞ্চিৎ হলেও শুনাইতে গান।
"রাত হয়েছে...!"
তো কি হয়েছে! এই রাত তো শুধুই
তোমার-আমার,
কে আছে এমন; আমাদের মধুর ক্ষণকে
রুখিবার?
যদি একবার চাক্ষুসে তাহারে পাই;
তবে কণ্ঠের নালীখানা ধরিবো চাপাই।
"তাই! না.....!"
এ রাতের বিনোদন করিতে আলিঙ্গন,
কত সহস্র প্রহর রয়েছি অপেক্ষায়;
আজ এই ক্ষণে যদিও কিঞ্চিৎ পাই-
বিধাতার তরে শুকর জানাবো,
স্ব-যতনে তার কদমে করিয়া চুম্বন।
তো আর কি! জীবনে কি আছে বাকি?
যেদিকে তাকাই, সেদিকেই দেখেছি-
শুভঙ্করের সেই বিরাট ফাঁকি!
"সুন্দর বলেছো।"
কি হলো বউ! আরও কিছু বলো?
"কি বলবো, তুমিতো সেই ভাব -এ আছো!"
কে বললো?
"আমি, তোমার...."
এবার কি তবে ভাবের কিছু হতে চললো!
নাকি শুভঙ্কর এখানেও আছে আগের
মতোই?
যেভাবে সব ফাঁকি দিয়ে-
সকলের তরে এখনও আছে উদাহরণ হয়ে!
"আছে হয়তো..."
তবে আর কি করার!
আমাকেই খুঁজিতে হইবে, এই দুর্গম পথে-
অরণ্যের এ দিক হতে শেষান্তে পারি দেবার।
সব রেখে এবার বলো মূল কথা!
যা হবার হলো এতোক্ষণ,আর না।
"মূল কথা কিছু না; এমনি কথা বলতেছি।
তুমি বলছো, খারাপ লাগছেনা।"
আমি তো এতোক্ষণ পাগলের প্রলাপ
বকলাম।
"না, কবিতা।"
সত্যি বলছো?
"হুম।"