কত দিন হলো চলে গেছো দৃষ্টি ছেড়ে,
ক্ষণিকের তরে- একবারও দেখোনি
ফিরে! তবে কি এতই তুচ্ছ ভাবিয়াছো?
এতই অবহেলা করছো কাঙালেরে?
সেই যে গেলে আর স্মরণ করলেনা!
তোমার অপেক্ষায় প্রহর গুনিতেছে-
নিশি-দিনে, তোমার আওয়াজে ভ্রমিতো
হয়ে- কতবার দেখেছে ঘড়ির পানে!
কত স্বপ্ন বুনেছে অন্ত গহীন কোণে,
সকল স্বপ্ন কী তবে স্বপ্নই রয়বে?
কাঙালের পানে অক্ষি মেলে চাইবেনা?
সেই যে গেলে আর স্মরণ করলেনা!

কাঙাল বটবৃক্ষ বনিতে পারবে কি?
তোমারে ভালবাসার পরশ বুলাতে!
সে কি পারবে আগাছা উপড়ে দিয়ে
তোমারে সুরক্ষিত করে বেঁধে রাখতে?
কত ভাবনা তোমার ভালে রেখা পাতে!
কত চিন্তায় আছো তুমি; সে বুঝেইনা!
কত শতবার আবুল-তাবোল বলে-
“আমারে কি তোমার একটুকুও মনে
পড়েনা? নাকি আমাকে সঁয়তে পারোনা?”
সেই যে গেলে আর স্মরণ করলেনা!

কাঙাল ধৈর্যশীল হইতে পারবে কি?
প্রেমিক হতে চায়না সে, জেনেছো তুমি।
তবুও প্রেমিকের গুণে বনিতে স্বামী-
কাঙাল- বটবৃক্ষ, ধৈর্যশীল হইবে;
তা সকলই কেবল তোমার অজানা।
সেই যে গেলে আর স্মরণ করলেনা!