আমি হতে চেয়েছি জসিমুদ্দিনের নঁকশি কাথার মাঠ,
আমি হতে চেয়েছি কাজী নজরুলে বাবড়ী মাথার চুল।
আমি হতে চেয়েছি রবীন্দ্রনাথের নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গ,
আমি হতে চেয়েছি বঙ্গ বন্ধুর প্রত্যাশিত পশ্চিম বঙ্গ।
আমি হতে চেয়েছি বাঙালীর ঐক্য কাঙিখত ছয় দফা,
আমি হতে পারিনি কারন আমি নিজেই।
আমাদের মত কিছু সার্থবাদী বাঙালী,
সর্বক্ষেত্রে আমরা করেছি দালালি।
এই বাঙালীরাই হলো কারণ,
যাদের সহযোগিতায় ওরা কেটেছে ফোরন।
তেমনি কিছু বাঙালী আজ বাঙালীর আত্যগৌরবে ফেটে পড়ে,
যাদের যুদ্ধ ক্ষেত্রে ছিলোনা কোন চরন।
ওরা ভয়ে কাঁপতো দেখলে কখনো মরণ।
আমরা ভুলে যাই আমাদের নেই আজ সরণ।
যারা হাসিমুখে মৃত্যুকে করেছে বরণ।
মনেপড়ে সেদিনের কথা,
যেদিন অর্ধমৃত বাংলাদেশকে ছিড়ে ছিড়ে খেয়েছে শকুন।
বিশ্বাষ না হলে ইতিহাসের পাতা খুলে দেখুন।
এদেশের মানুষের রক্তে ভিজেছে মাটি,
এদেশের কৃষকেরা ধরেছে লাঠি।
ওরা শাসন করেছে, করেছে শোষন,
মনের ভেতর হিংস্র পশু করেছে পোষন।
বাঙালীর বুকের রক্ত খেয়ে বেঁচেছে ওরা,
আমরা বুকের রক্তে কিনেছি এই স্বাধিনতা।
আকাশে আজ উরছে স্বাধিনতার পতাকা,
একটু ভেবে বলুন আজ কতটা স্বাধিন আমরা