দেখা হলো প্রথম বার হিস্না নদীর তীরে,
সুইট নামে ডাকতো তারে চায় ফিরে ফিরে।
ধীরে ধীরে ভালো লাগা,
মনে তার ছবি আঁকা।
নদীটি ছিলো আঁকাবাঁকা,
তার মনটি আর বাঁকা।
নদীর কূলে থাকতো বসে,
একটি পলক দেখার আশে।
মেয়েটি ছিলো মনের মাঝে,
ভাবতো তারে সকাল সাঁঝে।
দেখতো তারে ঘুমের ঘোরে,
ডাকতো তারে বাঁশির সুরে,
কেউ যেন না বুঝতে পারে।
মুখে তার মিস্টি হাসি,
তাইতো তারে ভালোবাসি।
ছেলেটি ছিলো দেখতে কালো,
বাসতো তারে অনেক ভালো।
এই মনটা কাইড়া নিয়া,
দূরে কেন লুকায় গিয়া,
তার জন্য কাঁদে হিয়া,
নামটি তার (……….)।
আমার নামটি আছে জানা,
ভালোবাসতে নেইতো মানা,
আমার মত কেউ হবে না।
ভালোবাসা পবিত্র নাম,
দাওনি তুমি তার কোন দাম।
অনেক ঘৃণা ও অভিমান,
এই কি ছিলো তার প্রতিদান?
বলছো তুমি ভুলে যেতে,
নিজেকে কি পারো ভুলতে?
নিজেকেতো যায়না ভোলা,
তাইতো আমার হয়নি ভোলা।
গায়ের রংটা কালো বোলে,
মানুষ বোলে না গন্য করে।
কাছে পেয়ে করছো হেলা,
থামবে সেদিন সকল খেলা,
ডুববে যে দিন আমার বেলা।
কাঁদবে সেদিন লুকিয়ে ঘরে,
তাও পাবে না আমায় ফিরে।
বলছি এ নয় মুখের কথা,
সব আমার এই মনের ব্যাথা।
এই কবিতা যে শুনেছে
বুঝবে আমার বুকের জ্বালা।
আমি জানি বুঝবে না তুমি,
তোমার ও মন পাথরে গড়া।