খুব ছোট তখন
বাবার ঘাড়ে উঠে চড়ে বেড়ানো,
বাবা শুয়ে থাকলে তার,
পিঠের উপর শুয়ে থাকা,
একদম স্বর্গরাজ্যে বিচরন।


খড় দুপুরে বিছানায় শুইয়ে দিলে
ঘুমের ভান ধরে থাকা।
জানালার পাশে বন্ধুদের হাতছানি,
একছুটে দৌড়ে বেড়িয়ে পড়া।
এর থেকে সুখি
আর কে হতে পারে।


বন্ধুদের ডেকেএনে
দাড়িয়াবান্ধা,গোল্লাছুট,টিলো এক্সপেস,বুড়িচ্চি,
বিশাল লম্বা দড়ি দুপাশে দুজন ঘোড়াবে
আর ছড়া কাটবে আর একগ্রুপ
লাফাতে থাকবে দড়ির ফাঁকে।
একে একে একদল আউট
আর এক দলের শুরু।


খেলতে পারি ভালো
তবে কেনো দুধভাত হবো?
চলবে না,এসব মানবো না দুধভাত।


দড়ি লাফে,প্রথম হয়ে প্রমাণ দিলাম
আমিও খেলতে পারি!
আমাকে খেলায় দুধভাত করলে রক্ষে আছে?


সোজা মায়ের কাছে,নালিশ
মা,একচোখ টিপে দিয়ে বলতো
কে আমার বড় মেয়েকে দুধভাত করলে?
দেখাচ্ছি মজা।
মাঝে মাঝে চোখে চোখেও ধরা পড়তো মা
বুঝে গেলাম মা-ও আমার সাথে চালাকি করছেন।
আমিই কাঁচা খেলায়
কিন্তুু কেনো মানবো বলো!


আমি তো, সব খেলা জানি
তোমাাদের কাছেই, শিখেছি!
তবে আমি নালিশ করার মতো
জায়গা আর পাচ্ছিলাম না।


এই তো সেদিন পেলাম নালিশ
করার এক সুযোগ।


ডিজিটাল ফোনের সুবাদে
ওপাশ থেকে কল এলো
বলতো! আমি কে?
তুমি নাম না বললে জানবো কি করে
আপা জানালো আমি তোমার  লিলি আপা।


ও! লিলি আপা!
হাজার কথার মাঝে দিলাম
সেদিন নালিশ করে
আচ্ছা বলতো,লিলি আপা
আমাকে কেনো দুধভাত?
প্রতি উত্তরে লিলি আপা বললো
আরে!তোকে দুধভাত না বানালে
আমাদের খেলা যে পন্ড হতো।


অনেক ছোট ছিলাম....অনেক
কেনো বড় হলাম?