আমরা স্বাধীন হতে চেয়েছি,
চাইনি পরাধীন থাকতে,
চাইনি শোষিত  নিপিড়ীত হতে,
তাদের পদতলে থাকতে চাইনি,
দয়া দাক্ষিন্য চাইনি,
শুধু আমাদের প্রাপ্য দাবী চেয়েছি।


দাবী আদায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা
আমরন যুদ্ধ চালিয়ে গেছে,
আপামর জনতার সমর্থনে তারা
পাকবাহিনীর একের পর এক
ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে।


ছত্রভঙ্গ পাকবাহিনী তখনও সারেন্ডার করেনি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোর
সাত বছরের ছেলের আহ্লাদী  আবদার রাখতে।
এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলিয়ে গেছে,স্যারেন্ডার তারা করেনি।


জাতি সংঘের তিন দফা দাবিকে
প্রত্যাখ্যান করে তারা
স্যারেন্ডার করতে নারাজ ছিলো,
জাতিসংঘের থেকে নির্দেশ আশা স্বত্বেও
তারা যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি কুটিকুটি করে ছিঁড়ে
ফেলেছিলো।


তবুও শেষ রক্ষা হয়নি,,,
বাংলার বীরযোদ্ধাদের বীরত্বে
অবশেষে তারা পরাভূত হয়েছিল।


লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে
যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি
একটা  ভূখন্ড পেয়েছি।


বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে
যেন আমরা রক্ষা করতে পারি।
সেই বীরযোদ্ধাদের  যথাযথ সম্মান
যেন আমরা রাখতে পারি
এটাই  আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার।।