মুন্নি শেখ


কিছুদিনের বিষাদ মনটা রোদের ছোঁয়া পেলো।
এ' কটা দিন কেমন কাটলো ,জিজ্ঞেস করতে চাইনা;
প্রশ্ন করতে চাইনা! হারিয়ে যাক শত সহস্র প্রশ্নের ভীড়ে। লিটার লিটার নোলাজল জমা হোক মনের পাতকুয়াটায়। এক-একটা মূহুর্ত যেনো কালো মেঘ ঘিরে রেখে দিয়েছিলো আমার ভেতর আর বাহির।


প্রচন্ড গর্জন  হচ্ছিল
মেঘে মেঘের মিলনে।


তিক্ত হৃদয় ধরা পড়েছিলো কালো ভয়ংকর সেই মেঘের মাঝে। বেরিয়ে আসার কোনো সুযোগ সেখানে ছিলোনা।অবুঝ হৃদয়ে সমুদ্রের বিশাল জলরাশি যেনোআছড়ে আছড়ে ফেলছিলো সমুদ্র তীরে বিশাল বালুর চাদরে। গভীর পানিতে পড়ে গিয়ে বাঁচার আশায় আঁকড়ে ধরেছিলো খড়কুটো; কখনো মরিচীকাময় বালুর চর দেখতে পাওয়া যেনো সেটাও ভুল ছিলো।


কখনো বন্ধু হাতগুলো দিয়ে যাওয়া
সান্ত্বনা আমাকে হাল্কা করেছিলো।


অক্সিজেন যে একটা প্রাণী হতে পারে,তা জানা ছিলোনা।জীবন জীবনের মতো চলছিলো,যেনো নদীর উপর  বয়ে চলা পাল তোলা নৌকা।বাতাস যেদিকে যায় নৌকাটাও সেদিকে চলছিলো। বিষাদ মনটা আলোর ছটাপেলো ,নতুন ভোরে তার হাত ছানি আমাকে আপ্লুত করে দিলো, আমার দেহ-মন। প্রশান্তি ছুঁয়ে গেলো মনের উড়ন্ত প্রজাপতিটায়।ছোটো ছোটো কথাগুলো যেনো প্রাণ ছুঁয়ে দূরন্ত  হলো।ভালো-লাগা গুলো ছুঁয়ে ছুঁয়ে  যায়  দেহ তনু মন।  শুভ সকাল যেনো শুভ হয়ে উঠলো-


যেন নতুন সূর্য
সুখের বারতা বয়ে নিয়ে এলো।


২২/৯/২০
চট্টগ্রাম