আজ আমি আমার আড়াই বিঘা নাক নিয়ে কিছু বলবো। ছোটোবেলায় নাকটা শুধু বোঁচা ছিলো তাই নয়,
মোটাও ছিলো,এখোনো আছে।
তবে আমি মনে করি নাক দিয়ে
ফাঁফ শরা ছাড়া আর কোনো কাজ আছে
বলে তো মনে হয়না।
অক্সিজেন নাও আর কার্বনডাই অক্সাইড ছাড়ো এইতো। এটা একশোবার না, হাজারবার না,
লক্ষবার শুনতে হয়েছে আমার নাক বোঁচা!
মেয়ের নাক বোঁচা বিয়ে নাও হতে পারে---
এমন মন্তব্যও শুনেছি অসংখ্যবার।
এই নাকটাকে পিনোকিওর মতো
আর খেজুরের কাঁটার মতো
স্লীম অ্যান্ড শার্প করার জন্য কতো
অপচেষ্টাই না চলতো আমার নাকের উপর!
নানাবাড়িতে গেলে বড়মা মানে আমার নানীর মা,
উনিই আমার নাকটাকে লম্বা
ও পাতলা করার বিশেষ দায়িত্ব নিলেন।
আমার বড়মা মানে নানীর মাকে
দেখার আমার ভাগ্য  হয়েছিলো।
আসলে আগে বাল্য বিবাহের কারনে
এটা সম্ভব হয়েছিলো।
উনি খুব সুন্দরী ও স্মার্ট ছিলেন। এ
মনকি ফাইভে এবং এইটে বৃত্তি পেয়েছিলেন।
শুনেছি উনি টিচারও ছিলেন।
আমার সেই বড়মা সকাল বেলায়
বাসি মুখে কাজটা খুব দায়িত্ব সহকারে করতেন।
হাতের আঙুলে তেল নিতেন,
সেটা সরিষার তেল কি নারিকেল
তেল বলতে পারবোনা।
তবে বিশ্রী একটা গন্ধ ছিলো
এবং সাথে ছড়া কাটতেন।
বলতেন,"নাক উঠুক, নাক উঠুক ঘরের কোনা,
নাক উঠুক নাক উঠুক খেজুরের কাঁটা।
নাক উঠুক নাক উঠুক বাঁশের আগা।"
এমন অনেক কিছু বলতেন।
ছড়া না কাটলে তো আমাকে
স্থির করে বসানো যাবেনা।
তবে এই নাক টানাটানিতে
কতোটুকু কাজ হয়েছে জানিনা।
আমার তো মনে হয়,
নাক আমার আগে আড়াই বিঘা নিয়ে ছিলো
এখন তিন বিঘা নিয়ে আছে।
নাকের শেপ যেমনই হোক,
কারো ব্যক্তিগত বিষয়ে
নাক না গলানোই ভালো।