আমার মা,খালারা,নানী সবাই  
রান্না করতেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য।


পাক সেনারা টের পেয়েগিয়েছিলো
ঐ বাড়িতেই  মুক্তি যোদ্ধারা থাকতো
এবং  যুদ্ধ করতো।


নানা ভীষণ সৌখিন ছিলেন,
চাকরি শেষে পেনশনের টাকা দিয়ে
মহেন্দ্র জমিদারের বিশাল ধ্বংস হয়ে
যাওয়া বাড়ি কিনেছিলেন।


যা কিনা কেউ কিনতে সাহস পেত না ঐ জায়গাটি।
কারন  জমিদার বাড়ির  মাঝখানে এক
পীর সাহেবের কবর ছিলো।


এবং  সবার বিশ্বাস পীরের আদেশ অমান্য  
করে জমিদার একটা বাঈজী মহল তৈরি করেছিলেন,
এটাই নাকি জমিদার বংশের ধবংসের কারণ।


নানা এই জমিদার বাড়ি সাহস করে কিনে ফেললেন
এবং  মহেন্দ্র জমিদারের বাড়ির স্টাইলে  এক চমৎকার  কারুকাজ করা প্রাসাদ তৈরি  করলেন।
উপরে আল্লাহ,  আর এই বিশাল
আকৃতির জমিদার বাড়ি ভেদ করে
বন্দুকের গুলি ঢুকতোনা।


নানাবাড়ির সীমানা শেষে,
ঠিক  ওখানেই  ছিলো ওয়াপদা অফিস।
ওটাও নানার জমি ছিলো,
সরকার তা কিনে নেয় এবং  
ওয়াপদা অফিস  এবং  কলোনি তৈরি করে।
ওটাই ছিলো পাক সেনাদের ক্যাম্প।  
একদিন একটা কান্ড ঘটলো।


চলবে পরের পর্বে পাশে থাকুন