ইচ্ছে করলেই কি ভোলা যায়!
সেই যে তুই আর আমি সারারাত
জেগে জেগে সাহিত্য চর্চা। কবিতা নিয়ে
মাতামাতি। হঠাৎ করে ধরতিস, আপু কলে
আসো কথা আছে, আমি বলতাম, কি রে কি হলো? তুই বলতি,তোমার কাছে কতো পরিমান দাঁড়ি, কমা আছে বলো।
আমি বলতাম, দেখ আমার এসবের অভাব নেই ।
তুই বলতিস, ও তাই বস্তা ভরে কবিতায় ঢেলে দিছো!
আমি বলতাম এ-তো কথা বলিসনা ঠিক কর।
কবিতা লিখতে লিখতে ছুটে গিয়ে তোকে জিজ্ঞেস করতার কোনো একটা শব্দের প্রতিশব্দ বের কর তো, আর তুই চট করে কয়েকটি বের করতিস।
কিভাবে ভুলিরে তোকে।
তোর খারাপ চাই নারে।। ডাক্তার দেখা সুস্থ হ।
নিজেকে তো সুস্থ রাখতে হবে। তোর জীবন তোরই।
বড্ড ভালোবাসিরে! তাই তো জোর করেও তোকো ভুলতে পারিনা।
সেই যে কথা বলতে বলতে রাত ভোর করে দিতাম আর আজান দিয়ে দিলে নামাজ পরে ঘুমাতে যেতাম। ম্যাক্সিমাম টাইম তোর সাথে থাকতে ভীষণ ভালো লাগতো।
আবৃত্তি আমি করতেই চাইতাম না, তোর জোড়াজুড়ি তে করতাম। সবাই যখন এপ্রিশিয়েট করতো।
সে য়ে কি ভালোলাগা অনুভূতি টা
ভাগাভাগি করে নিতাম।
সারদিন সাহিত্যের সাগরে ডুবে থাকা
জেনো আমার উড়ন্ত প্রজাপতির ডানায় ভরকরা পরী।
ঘুরে ঘুরে খুঁজে নিতাম কবিতার উপকরণ।
হঠাৎ এক অদৃশ্য ঝড় জেনো আমাদের বিচ্ছিন্ন করে দিলো।
দু'জন মনে হয় সাত সমুদ্র তেরো নদীর এপার আর ওপার চলে গেলাম।
কিভাবে ভুলি বল, তাই তো মাঝে মাঝে মন কেঁদে কেঁদে উঠে।
ভুলতে চাইলেই কি সব ভোলা যায় বল!?
এক ছোটো বোনের স্মৃতি গুলো মনে করে লেখা
যদিও দুজন যোজন যোজন দূরে ছিলাম