" মৃত্যুশব্দ"


পাখি(১)ঃএবার থামতে বলা উচিত।
পাখি(২)ঃ হ্যা, কতদিন হয়ে গেল পায়ের আওয়াজ শুনিনা।
পাখি(১)ঃ সদ্য কিশোর সেই ছেলেটাও তার ঠোঁট গোল করে আর নকল করতেআসে না আমাদের মিষ্টি গানের সুর।
পাখিদের কলতানে ঘুম ভেঙে যায় পাহাড়ের। সে বলে-
পাহাড়ঃ- -  'আমার এই রুক্ষ শরীর বেয়ে আর কেউ ছুঁতে আসে না আমার চূড়া। যে দুর্লভ ফুলগুলো ফুটেছিল তাদের জন্য; সেগুলো আজ বড্ড বিষন্ন আর ছোঁয়াহীন।
পাহাড়ের বুকে কান পেতে থাকা নিরব হাওয়ারা ততক্ষণে শুনে ফেলেছে অরিত্রের আহাজারি।
বাতাসঃ আমিও তো ওদের জন্য আয়োজন করে রেখেছিলাম সহস্র পাখার শান্তির পরশ! কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে-দীর্ঘ হচ্ছে নিস্তব্ধতার মিছিল। ওরা না থাকলে কি প্রয়োজন আমাদের?
পাহাড়ঃ হারিয়ে যাবে বিষ্ময়।
পাখিঃ গান থেমে যাবে, সূর্য ভুলে যাবে আগমন পথ, অন্ধকারেরাও গাইবে পাগলের প্রলাপ।
নদীঃ আমি তো আর পারছি না ভাই! ভেসে চলেছে শত শত শব। কত যে ভালবাসতো এরা, এখনও হয়তো শেষ হয়েছিল না তাদের অনুধাবনের আকাঙ্খা।
ভিন্ন কণ্ঠ ঃ থেমে গেছে সমস্ত ভিড়, সব প্রাণে আজ সংশয়ের দোলা। যে জীবনকে আমি দেখেছিলাম খুব কাছ থেকে; জানতে চেয়েছিলাম তার হৃদয়ের বারতা, আজ তারা স..ব মুখোশে ঢেকেছে মুখ।
রাত্রী বলছে আমার গা থেকে খুলে নাও তারার পোশাক,
নক্ষত্রেরা কাঁদতে-কাঁদতে মুছিয়ে ফেলেছে চোখের সুরমা; এ যেন এক অসহায় সময়ের তিতীক্ষ্ণ তীর।
পাখিঃ হে আমার ইচ্ছে ডানার মালিক- মুছিয়ে দাও এ বিষের দঙ্গল,  নয়লে ফিরিয়ে নাও আমার ডানা।
পাহাড়ঃ কেড়ে নাও মনে মনে উড়ে যাওয়ার অমোঘ শক্তি।
বাতাসঃ আমিও পুড়ে মরবো আমারই বিষাক্ত বিষের স্তব্ধ নিঃশ্বাসে।


সমস্বরঃ স্বাভাবিকতা ফিরে আসুক ভূমিতে। ভিড়ে ভিড়ে ছেয়ে যাক পৃথিবীর পাড়। শেষ হোক মুখোশের দিন, চলে যাক সংশয়, থেমে যাক অনাকাঙ্ক্ষিত মরন।
আমরা একা এবং প্রত্যেকে সাহসিক আবেদনে উচ্চারণ করছি এবং বলছি আবার বহমান হোক তোমার শুভকামনার সংগতি।।
মুন্সী কবির।