"জলদ ঘ্রাণ"
Jolod ghran


আত্মমগন, খুব প্রিয় একটা শব্দ আমার-
তাই আমি বিত্ত না বুঝে রিক্ত হতে চেয়েছিলাম
অথবা আমার স্বপ্নের নাম 'নিঃস্ব '-
তাই আমি বিভব না ছুঁয়ে অক্ষর এঁকেছিলাম।
একটা আকাশ ছিল আমার।
আমি মগ্ন হয়ে থাকতাম তারই শূণ্যতায়। আর
অল্প কিছু মেঘ ছিল আমার, কাউকে দেখাইনি,
মাঝে মাঝে একা হলে মেঘ দেখি।
মাঝে মাঝে কষ্ট পেলে ওদের গল্প শুনি।
আবার মনের যখন খুব ক্ষিধে পায় -
আমি তখন মেঘের গন্ধ শুষি।
তখন আমার দুঃখগুলো জমা হয় জাদুঘরে।
ক্লান্তিগুলো বন্ধক রেখে আসি বিষাদ খাতায়।
কান্না তখন স্বাধীন; যেন রেশম গুটির ভেতর
একটা সুনীল প্রজাপতি।
মাঝে মধ্যে ঐ প্রিয় মেঘেরা আমাকে কৈশরের
গল্প শোনায়।
হনন শব্দ ভুলে তখন আমার আকাশে খুশির
বাঁশী বাজায় ঝাঁক-ঝাঁক উড়ন্ত সবুজ টিয়ে।
দিন শেষে মোমের আলোয় কাঁপে প্রহর,
ধেয়ে আসে মহীয়ান রাত্রী।
বিষাদ ভুলে মন তখন শিশিরের সমুদ্র।
মনকে তখন খুব বলতে ইচ্ছে করে...
তোকে আমি পাঠিয়ে দিলাম বেনামি বাক্সে,
সেখানে বকুল স্মৃতির পাশে বসে তুই কুড়োস
মিঠে-তিতা নিম ফল, আর আমি হয়তো
আবার ফিরে যাবো সেই অফুরান মেঘাবেসে।।


-মুন্সী কবির।