"মাঝরাতের মাহফিল"


এবারও বৃষ্টি হল না!
দুঃখের বীজগুলো হয়তো অঙ্কুরিত হবে না আর।
ভাড়ার প্রায় শূন্যের কোটায়।
অথচ খুব প্রয়োজন ছিল কষ্ট-ফসলের।
শিশু-সুখ, দুরন্ত হাসি, ফুটন্ত অভিমান
,এরা হয়তো ভুলেই যাবে সহোদরের মুখ।
যে সাঁকো হারিয়ে ফেলেছে পারাপারের অহমিকা, যে দৃষ্টিতে আগুনের খড়কুটোর কোনই অভাব ছিলনা-
,শুধু ঐ মেঘের পরিণতির জন্যই হয়তোবা আর ফেরানো যাবে না তাকে সুখের সমাবর্তনে।
মিথ্যরা এখন বুকের জমিতে আগাছার মত বাড়বাড়ন্ত। শংসাপত্রের খোঁজ পাবে না অবোধ মাষ্টার।
পৃথিবী শূন্য হবে অমায়িক সড়কগুলো। আর এতো প্রভঞ্জনের ভিড়ে এক চিমটে ব্যথাও পাওয়া যাবেনা ;যার হাতের আঁকা নকশা ধরে অন্ধ ঘুঘুটা ফিরে যেতে পারবে, তার ছেড়ে যাওয়া প্রিয়তমার বিরল বর্ষণের উষ্ণতায়।।


মুন্সী কবির।