নিজের দিকে লক্ষ্য করার অনভ্যস্ততায়,
না বুঝে,ভুল বুঝে,অস্পষ্ট অভিমানে নিজেকে
অবহেলা করে,স্বাভাবিক, অস্বাভাবিক নিয়মের
মাঝে,কেউ কেউ নিজ মানুষ কে-ও অবহেলা
শুরু করে!জিবন কিছু ব্যতিক্রমে,কোনো আপনের
কিছু হয়ে গেলে,হঠাৎ ঝড়ে তছনছ হয়ে যাওয়া
সংসারের মতো, হায় হায় করা ছাড়া উপায় থাকেনা।
কোন ভুল কথা বলা হলো?বেঠিক কিছু ঘটে গেলো
কোথায়?
মৃত্যুর ঘন্টা ভেসে আসে বুঝি কোনো অচেনা জগত
হতে!
কেন যেন মনে হয়; মৃত মানুষের মুখ দেখতে না
চাওয়ার মতো;দুঃখ গুলো হঠাৎ করে আসেনা!
শকুনের মতো অসম্ভব ধৈর্য নিয়ে কুৎসিত হায়েনারা
যখন মৃতের শরিরে থাবা চালায়!প্রাণহীনের শত অলৌকিক
আপ্রান চেষ্টাতে'ও তখন কিছু আসে যায় না।
ক্ষুধার্ত, দুর্ভাগ্য তখন আঠালো মশা,মাছির মতো,
ফুটপাতে পড়ে থাকা নগ্নতাকে,মরুতপ্ত তৃষ্ণা নিয়ে
ধারালো শীতের তীক্ষ্ণতা দিয়ে টুকরো টুকরো করে।
অতিষ্ঠ শুখ তখন নাক কুঁচকে, শুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাসের জন্যে
আকুল হয়ে ছুটে পালানো ছাড়া কোনো উপায় দেখেনা।
কোনো রুপকথা কেনো কখনো মৃত্যুর কথা বলেনা!


                               ম.মজুমদার।