এইতো সেদিন
সমরেশ
যেদিন এসেছিলেন
বাতিঘরে।


ফাইল,
ফোন কল,
মেইল,
অর্ডার,
বুকিং,
সবকাজ
এক তাড়াহুড়োর
ভিতরে
সেরে,
না ফিরে নীড়ে
গিয়েছিলাম,
ছিলাম বিভোর
এক ঘোরে।


সষ্ট্রা
জয়িতার,
অনিমেষ,
অর্ক,
কৈশোরের প্রেমিকা
দীপবলির।
একটু
কথোপকোপন।


দেখা,
আড্ডা,
একটি প্রশ্ন-
‘দীপাবলি
কেন আচ্ছন্ন করে রেখেছে
আমার কৈশোর
যৌবন,
এখনো আমি কেন
খুঁজে বেড়ায়
দীপাবলি
বা কাউকে
দীপাবলির মতন?‘


স্মীত হেসে
বলেছিলেন সমরেশ-


“শুভ কামনা রইল
শীঘ্র তোমার জীবনে
আসবে দীবাবলি
বা কেউ তার চেয়েও বেশ”


আড্ডা শেষে
সমরেশ মোহে
আচ্ছন্ন
বিভোর হয়ে
ফিরব বলে
বাড়ি।


দিচ্ছি যখন
বাইকটা র্স্টাট,
অচেনা এক কন্ঠস্বর
: ‘এসকিউস মি!
আপনার সাথে কি
একটু কথা বলতে পারি?’


দীর্ঘ গড়ন,
শ্যামল,
লাবণ্যময়ী,
এক বালিকা,
না তরুনী,
না বালিকাই
কৈশোরের
উচ্ছাস
সারল্য
খেলা করছিল
তার
চোখে,
সর্বাঙ্গে।
বললাম,
বলুন।


‘দাড়িয়েই বলব?
একটু যে
দীর্ঘ,
বলার ছিল,
জনার ছিল,
যদি সময় থাকে
কোথাও গিয়ে বসি’।
চলুন।


নিঃসংকোচ
বালিকা
বাইকে,
রেস্তোরায়,
আড্ডায়
মজে ছিলাম
আমিও।


বলল
‘যদি ভুল
না করি
আমি,
নাম আপনার আহসান
বাবার ছাত্র হিসেবে
আমাদের বাসায় যেতেন
আপনিও!’


চিনলাম
এবং
বললাম
পড়ালেখার পাঠ
চুকিয়েছি
অর্ধযুগ হয় প্রায়।
সেই কত আগে
যেতাম স্যারের
বাসায়!
এতদিন পরও তুমি চিনতে
পেরেছ আমায়?


কথাটা এড়িয়ে
বালিকা
কফিতে দিল
মন।


বালিকা এখন
নেই, সেই
কিশোরী,
কথার মাঝে
জনাল সে
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে
এখন।


এরপর ক’দিন
বালিকার
অধিকারে
হারিয়েছি,
হয়েছি
বিষ্মিত।
যেন আমি নিজের
নই!
বালিকার,
তার জন্যই
প্রেরিত।


গত ক’দিন
আমার সময় গুলো
ছিল
কাজদের
অধিকারে,
মন
সেত মনে
রাখেনি
আগুন্তুক
বালিকারে।
  
গতকাল
হাঠাত
দুরালাপন।
অভিমানে
এই ফাগুনে,
বালিকার নয়নে
অঝর শ্রাবণ!!!


বালিকা?
কেন?
কি বলতে চেয়েছিলে ?