মি: তোমার কাছে যেতে চায় হৃদয়, মানে না বারণ
বৃষ্টির শহরে মেঘলা আমার এ মন...

মাঝ রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে,
কারে যেন দেখি আপন আপন।
একটা মুখ এসে ভাসে চোখে অস্পষ্ট, অদ্ভুত !

জানালার পর্দা বাতাসে দোল খেলে,
ঘসে পড়া নক্ষত্র, পর্দার ফাঁক দিয়ে বুকের ভিতর ব্যথার কলি হয়ে কথার পিঠে চড়ে বসে।

শূন্যে ভাসা নিকোটিনের ধোয়ায় ঠোঁট হয় কালো।
মন পোড়া  নিকোটিনের ধোঁয়া নেই,অথচ চোখের সামনে ধোঁয়া মতো ভাসছে প্রশ্নের ভিতর।

ভুমিহীন হৃদয়ে অধিকার আদায় করতে যুদ্ধের প্রস্তুতি। চতুর খেক-শেয়াল জমি দখলে হাসছে ঝোপের আঁড়ালে।

যেখানে দাঁড়িয়ে থাকার কথা প্রতিশ্রুতি,দরজা খুলে দেখি সেখানে কোথাও  কেউ নেই!  অন্ধকার যতদূর চোখ যায়।
পাহারাদার কুকুরের ডাকে আমার অজ্ঞাত মস্তিষ্কে জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে অমানুষী দেখি বিজ্ঞান প্রযুক্তি।

ফাঁট ফুল গাছের আড়াল থেকে আলোর হাসি নিয়ে পথ দেখায় জোনাকির দল। চোখ খুলে দিয়ে বলে ওরা,জ্যোৎস্নার চেয়ে সুন্দর আমি দেখার চোখ যখন যার সুন্দর।

বাতাসে ভেসে আসে বকুলের গন্ধ,
ঝরে যাওয়া ফুল বলে, গোলাপের কাটার চেয়ে আমি অনিন্দ্য।

অতঃপর ভীষণ রাগ হয়!
কান্না পায়! বৃষ্টি নামে মুষলধারায়!
তবু চাই ঘুম ভাঙুক, থেকে যাক এই দেখা শতাব্দী।

কবিতা ___ অদ্ভুত অদৃশ্য মায়া
লেখা- মোহাম্মদ মোশাহিদ মজুমদার