১.
ভোট চাইনা তোদের
তোমাদের,আপনাদের
না,চাইনা ভোট গল্পকার,প্রবন্ধিক,ইতিহাসবেত্তা
ঔপন্যাসিক কিংবা খাড়া-নাক ক্ষুব্ধ কোন সমালোচকের।


চাইনা ভোট আমি কবির;গদ্যকার,পদ্যকার
দার্শনিক,বৈজ্ঞানিক,রাজনীতিবীদ  আর
যতসব দেহ-লোভী ছোকরা ছড়াকারের।


২.
কবিতা তো ভোটহীন বাঁচে।
খাদ্যহীন, পুষ্টিহীন
সতৃষ্ণ-কাতর পিপাসায় পানিহীন
কবিতা ঠিকই বাঁচে; কবি বাঁচে  করতালিহীন।


৩.
বিচারিক আদালতেও যাবনা আমি; উকিল-মোক্তার
বিচারক,পেশকার আর যত আইন দাতার
ক্ষমতায় অপ্রতিরোধ্য সেত' কবিতা।
পৃথিবীর কোন দন্ড নেই, দন্ডিত' বিধান নেই
তবে কেন, কোন মহামান্যের বিনীত দরবারে
কবিতার প্রানভিক্ষা চাই?


৪.
না, কোন চিকিৎসক-মনস্তাত্বিকের কাছে নয়
জ্বরহীন,জ্বরাহীন
অচিকিৎস্য চিরদিন
কবিতার বুকে তৃপ্তির দুলনি ছাড়া
অথবা ক্লান্তির গভীর নিঃশ্বাষ ছাড়া
কিছুই দেখেনি কেউ,
দেখ,কবির দু'চোখে অবারিত খোলা
প্রান্তর,স্বপ্নের ঢেউ !


৫.
এসেছি প্রান্তরে প্রত্যশা-বিহীন
দাবী নেই, আশা নেই; লাভ-ক্ষতির হিসাবে
উৎকন্ঠাও নেই। কবি আমি--অমরত্বহীন
কালান্তরের যন্ত্রণা  এবুকে দিয়েছি ঠাঁই,
দেখিনি পিছন ফিরে খ্যাতির কলস
কতটা ভরেছে, না-কী  তা  উল্টায় ?