বন্ধুরা সবাই হাসে--
"ও আবার কবে কবি হল?
ওর তো এখন' নাক থেকে শিকনিই ছোটেনি,
লাস্ট বেঞ্চি; ক্লাশে রবিন্দ্রনাথের নির্ভুল বানান উচ্চারণের  জন্য
স্যারর হাতের কতইনা কানমলা খেয়েছে সে!"  


শ্রদ্ধেয় কুদ্দুস স্যার, যাঁর গম্ভীর-নিনাদ কণ্ঠের হুংকারে
আমি প্রায় প্যান্টে হিসু করে ফেলতাম।
তিনিও সেদিন মাথার শরৎ-শুভ্র কেশে
পরম আদরে হাত বুলাতে বুলাতে কাছে ডেকে বললেন--
"কীরে, তুই না-কী কবিতা লেখিস?
তোর তো নাক চিপলে আজও দুধ বেরুবে হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ..."


এদিকে আমার বাবা, তিনি তো রেগেই খুন!--
"অর্থের এমন হতচ্ছিরি অপব্যাবহার, সহ্য হয়?"
মা হাসেন--,আর কেন?
একটি ফুলের মত লাল টুকটুকে মেয়ে দেখে
ছেলের বিয়েটা দিয়ে দাও,দেখ
সব ঠিক হয়ে যাবে…


হ্যাঁ মা,ঠিকই বলেছ তুমি
আমার এখন একটি মেয়ের খুব প্রয়োজন;
একটিই মেয়ে--লাল নীল বাদামী হলুদ
অথবা সবুজ কালো সাদা যা-ই হোক
শুধু মেয়েটির নাম যেন মা,কবিতা হয় !!