এতিম ছেলে,এতিম ছেলে,
মা-বাবা কোথায় হারালে !
চেয়েছিলে পায়েস খেতে
পায়েস তুমি পাওনি,
এতিম বলে কেউ যে
তোমায় আদর করেনি।


শীত সকালে ডাকলে তুমি
দিতে কাপড় একখানা,
বের করে দিল যে তোমায়
সে যে বড়ো যন্ত্রণা?


বর্ষা এলে চাইলে ছাতা
দিল তোমায় মার,
ব্যথার সুরে গাইলে তুমি
বুকের হাহাকার।
এতিম ছেলে,এতিম ছেলে,
বুকে বড়ো ব্যথা,
মনে পড়ে,আদরে আদরে
ভরিয়ে দিত মাতা।


চিড়ে-মুড়ি খেতে খেতে
শীত সকালে উঠতে মেতে
ভূতের ভয়ে বাস,
আজ সে ভূতকে নিয়ে
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে করো হা হুতাশ।


এতিম ছেলে,এতিম ছেলে,
মোহন বাঁশি কোথায় পেলে?
খেজুররস তোমায় দিয়ে
বসত খেতে মা,
দুঃখের কথা বাঁশিতে তোমার
কেউ কিনে দেয়নি জামা।


কেউ যে কিনে দেয় না জামা,
কেউ তো দেয় না আদর,
এমন করে কাটে কত
গ্রীষ্ম - বর্ষা - ভাদর।


চাঁদনি রাতে বাজাও বাঁশি
দুঃখের কথা সে বড়ো,
তোমার কথা লোকে শোনে
হাসে কেন এমন তরো?


সে দুঃখেরই গা কাঁপিয়ে,
বর্ষা এলো দেশ ঝাঁপিয়ে,
তোমার কথা কেউ শোনে না,
মনের ব্যথা কেউ বুঝে না,
তোমার বুকে পাথর চাপা,
ফুল ফোটেনা দোলনচাঁপা,
কেমন করে লিখে বিধি ,
কোন আদালতে তুমি বাদী,
কেউ তো জানে না।


এতিম ছেলে,এতিম ছেলে,
শরীরে তোমার জ্বর,
শিয়রে তোমার জ্বললো না দীপ,
রাতে আঁধার ঘর।


ভোরের সূয্যি উঠে জেগে
কেউ তো খবর রাখে না,
লোকে বলে,"দুখী এতিম।"
কেউতো পাশে বসে না।


এতিম ছেলে,এতিম ছেলে,
লোকের কেন মন হারালে?
উঠলো ডেকে ভোরের পাখি,
"কেমনে ডোবা হলো যে দিঘি?"


(২০১৭)