রাজকুমারী জঙ্গলেতে পথ হারিয়ে একা,
রাজকুমারের সাথে হল না তো দেখা।
পাহাড়ি ঝর্ণায় তেষ্টা মেটাল, একটুখানি থেমে।
আসছে কি আকাশ থেকে, মেঘপরীরা নেমে?
"কে গো তুমি ও বালিকা? কোথায় তোমার বাড়ি?
কাঁদছ কেন একলা বসে তা কি জানতে পারি?"
"দূর পাহাড়ের ওপারেতে রাজপ্রাসাদে থাকি,
কোথায় পাব রাজকুমারকে বলতে পার তা কী?"
"তুমিই তবে রাজকুমারী, রাজকুমারের খোঁজে।
বীর রাজকুমার আসছে তোমায় রক্ষার কাজে।"


চলছে উড়ে পঙখীরাজ, চড়ছে রাজকুমার।
সফেদ দেও এর হাতে বন্দি রাজকুমারী তার।
সাত সমুদ্দুর তেরো নদী দিতে হবে পাড়ি।
সেইখানেতে দৈত্যি রাজ্যে সফেদ দেও এর বাড়ি।
পৌঁছে গেল রাজকুমার, হাতে নিয়ে তরবারি।
সফেদ দেও এর সাথে তার লাগল ভীষণ যুদ্ধ।
তরবারি চলল দৈত্যের বুকে, রাজকুমার ক্ষুব্ধ,
আঘাতের পর আঘাতে হল দৈত্য ধরাশায়ী।
রাজকুমারের হাতেই এবার দৈত্যের প্রাণ যায়ই।
বধ হল সফেদ দেও, রাজকুমারী বাঁচাবার পালা।
রাজকুমার ছুটে গিয়ে দেখল খালি বন্দিশালা।


দৈত্য যখন শিকারে গেল, তার চোখের আড়ালে-
পালিয়ে গেল রাজকুমারী বুদ্ধি আর কৌশলে।


আবার উড়ল পঙ্খীরাজ, রাজকুমারীর সন্ধানে।
মেঘপরীরা উড়ে আসে রাজকুমারের পানে।
"ও পরীরা, বলতে পার, রাজকুমারী কোথায়?
খুঁজে পাইনি তারে আমি দৈত্যের বন্দিশালায়।"
"তুমি বুঝি রাজকুমার? রাজকুমারীকে চাও?
জঙ্গলের ওই পাহাড়ের ঝর্ণার ধারে যাও।"
রাজকুমারী জঙ্গল হতে উদ্ধার অবশেষে।
তারে নিয়ে ফিরল কুমার বিজয়ীর বেশে।
এসেছিল যত বাধা সব করে উপহাস
অতঃপর সুখে শান্তিতে করতে থাকল বসবাস।


অনেক হল গল্প, এবার তবে ঘুমিয়ে পড়।
কালকে রাতে রূপকথার গল্প হবে আরও।


-মিনহাজ উদ্দিন শিবলী
০৬/০৫/২০১৫