নিঝুম্‌ দ্বীপের ‘নির্বাক ডাক্‌’ সত্য মেনেও,
        ঘুমে কেন্‌, তুই বিভোর!
কখন্‌ আসে মরণ-দূত নাহি জেনেও,
        কাঁদিস্‌ না- কেন্‌, অঝোর!
হতে পারিস্‌ , জড়্‌ দেহ- পঁচা মাটি,
        কেমনে্‌ তবে, তুই ভাবিস্‌;
ভাবনাগুলো এম্‌নিতেই। ‘উজান-ভাটি’
        নিয়ে সাথে, তুই হাসিস্‌!
কোথায় জেনো, ‘মহাভ্রান্তি’ করছে বাস,
        ‘নদীর কূলে উর্মি মরে’!
‘কুঁড়িয়ে আনে চঁড়ুই পাখি স্বর্ণ-ঘাস,
        বৃক্ষ ডালে আপন ঘরে’!


এক্‌টি কালের ধ্বজ্‌ধরা অশ্বারোহী,
        আর দু’কাল কেবল মনে-
মনে মনে দেখিস্‌ ‘খ’, ‘বিজয়বাহী—
        -তত্ত্ব সব মনে বুনে।
নদের জলে ‘সুখের রব’ ‘দুখের নুপুর-
        রক্ত সিঁদুর’ কখ্‌খনো নয়;
ব্যর্থ নীড়ে আন্‌রে তুই ‘আশার ঝুমুর-
        পূর্ণ বিধুর আলোক অভয়’।
স্বর্ণ হরিণ ‘ভাব-পর্ণে’ ঐ রুদ্ধ-
        জপ্‌ ‘বুদ্ধ’, ভাগ্য ভেবে;
মনোপত্রে ‘ভোগ্‌-সুধা’ কঠিন বড়ো;
        ‘সাগর-বর ও তোমার রবে।


অন্ত দ্বীপে নির্বান আগ্‌ জ্বালবে কে রে?
        মশাল দিয়ে – ‘রব’ বরে!
‘বোধের নারে লাল ফুলকি’ ঐ যে মরে-
        বিন্ধ্য সম তাঁর করে।
নিভ্‌বে জানিস্‌ ‘ত্যাগ্‌-প্রদীপ’, দেহ ত্যাগে-
        মন নাশে – ‘জবর শীতে’!
জ্বাল্‌তে কি দোষ্‌ - ‘নতুন দীপ’ ভাবের ভাগে-
        এই নাগ্‌রিক ‘ভীম্‌ রাতে’।