এক বুক ব্যাথা নিয়ে কষ্ট গুলো ঘুমিয়ে পরে
তারপর মনের ভেতর গাঢ় অন্ধকারে
মিলিয়ে যেতে থাকে দূরে
বহুদূরে ।
কেমন আছো কবি ? বাড়ি আছো?
ছলছল কলকল শব্দে নদীটা বয়ে চলেছে
উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঢেউ গুলো আছড়ে পড়ছে আমার পায়ে
আর আমি
কলম হাতে এলোপাথাড়ি কিছু শব্দে তোমাকে লিখছি ।
জান কবি , কফিন বন্দি লাশ গুলো যখন
গ্রাস করে নিল নিউজ চ্যানেল
ইজলায়েল নাকি প্যালেস্তাইন এই প্রশ্নে মুখর সারা বিশ্ব
তখনো আমার আট বৎসরের ছোটন
শরতের ঘোড়ার অশ্বধ্বনি শুনে ঘুমোচ্ছিল
দূরে একটা বাঁশি মধুর সুরে বাজছিল
তারপর হটাৎ কি যেন হয়ে গেল
কেও একটানে ছিঁড়ে ফেলল মানবতার চাদরটাকে
বদলে গেল সবকিছু খুব দ্রুত।
সেদিন ছোটন খেলার মাঠে গিয়েছিল খেলতে
সামনে একটা ফুটবল দেখে মারল কিক
বুম শব্দে কেঁপে উঠল মাঠ
আমার ছোটনের দেহে সান্ত্বনার চাদর হয়ে রইল
কালো আর ধুলো
বিছানায় দুটো জ্যান্ত লাশ শুয়ে থাকে এখন
শুধু সজীবতা ফিরে পাই চোখের জল
কাক গুলোও এখন ডাকে নিঃশব্দে
কবি শুনেছি তুলিটা রঙ গুলোকে জীবন্ত করতে পারে
দাওনা সূর্যটাকে অন্য রঙে রাঙিয়ে
লাল রঙটা বড্ড বিষাক্ত হয়ে গেছে ।