নীল রক্ত গুলো ফেনা হয়ে আছড়ে পড়ছে তীরে
বালি গুলো শিরা-উপশিরা হয়ে মিশে যাচ্ছে হৃৎপিন্ডে
গোধূলির আলোক ছটা কেটে যাওয়া ধমনীর ন্যায়
ফিনকি দিয়ে ঝরে পড়ছে সমুদের নীল রক্তে
আর আমি
চোরাবালি খুঁজতে খুঁজতে লিখছি তোমাকে
কেমন আছো কবি ?


জীবনের পঁচিশটা বসন্ত পার করে এসে আজ দেখি
কৃষ্ণচূড়ার ডালে নির্জন দুপুরের সেই কোকিলটা আর নেই ।
কৃষ্ণচূড়ার ফুল গুলো মালগাড়ীর চাকার ন্যায় খসখস করে
ঝরে পড়ছে দূরে
বহুদূর ।


প্রতিটা সকালের উল্টো পিঠে সন্ধ্যা অপেক্ষা করে
সন্ধ্যা নামার আগে দুপুর , বিকেল জানিয়ে যায় তারাও আছে
অথচ আমার সন্ধ্যাটা নামল ভোঁর হওয়ার ঠিক পরেই ।


ভালোবাসার জন্য কত রাতকে ভোঁর করেছি তাকে দেখব বলে
শুধু একবার চোখের স্পর্শে তাকে পাব বলে
সবই যখন ঠিক চলছে এমন সময়
অভিমানের বিলাসিতা গুলো পাহাড় হয়ে দাড়াল দুজনের মাঝে
মতের অমিল, ভুল বোঝাবুঝি সব অসুর হয়ে দাঁড়াল ।


হাজার তারার দ্বীপ জ্বালিয়ে সব ভুলে যখন আমি ফিরেছি
তখন দেখি দ্বীপের নীচেয় জমেছে ব্ল্যাকহোল ।
নীল খাটের বিছানায় এখন দুটো মুখ দুপাশে সয়
আর
দিনান্তে চুলচেরা বালিশের দূরত্ব গুলো আলোকবর্ষ দূরে সরে যায় ।


কবি,
শুনেছি চোরাবালির গর্তে সমুদ্র সফেন এলে
সব দূরত্ব মিলিয়ে যায়
দাওনা এমন কোন সমুদ্র সফেন এনে
যা সব দূরত্ব ধূলিস্মাৎ করে ফিরিয়ে দেবে নীল রক্তকে ।