এই বসুধায় তুমি ই একমাত্র
হৃদয়ের কম্পন আমার,
যার অনুপস্থিতি ক্ষণিকের জন্য অনুভব হলে মনে হয়
এই বুঝি হৃদকম্পন থেমে যাচ্ছে আমার,
অন্ধকার হয়ে আসছে আমার চারিপাশ।


আমার মর্ত্যে আসার পর থেকে আজ অবধি
শত যন্ত্রনা-বঞ্চনা তোমাকেই ছুঁয়েছে।
হোক সেটা আমার ভাগের!
কিভাবে হুম! এত্ত সয়ে যাও কিভাবে তুমি?
আমার ত বিন্দু পরিমাণ কষ্ট ও সহ্য হয়না,
নাকি আমার কষ্টরা
তোমার কষ্টের বেড়াজালে বন্দী হয়ে গেছে!


আমি এত কিছু বুঝিনা মা,
শুধু এটাই বুঝি
চোখ খুলে তোমার মায়াভরা হাসি দেখতে চাই,
যা আমার হৃদয়ের খোরাক।


চেয়েছিলাম আরো বড় হবো,
তোমাকে নিয়ে যাবো ওই দূর পাহাড়ের চূড়ায়,
মেঘের খেলা দেখাবো বলে।
কিন্তু পারলাম কোথায়!
আসলে দুঃখের জোয়ারে
দুঃখ ই ভেসে আসে,
যেমন ভেসে আসে
ভাটা থেকে ফিরে আসা
সাগরের নোনা পানি!


আমি চাই মা তুমি আমার
মৃত্যুর শেষনিঃশ্বাস পর্যন্ত
হাসি মুখ নিয়ে পাশে থাকো,
যাতে আমি ঐ হাসিতে স্বর্গ দেখতে পাই।


তুমি কেঁদো না মা, তুমি কাঁদলে
আমার হৃদয় হাহাকার করে উঠে,
মনে হয় যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে মরুর বুকে।


আমি কিন্তু মা ভাগ্যবান, কেনো জানো?
আমি অদিতিতে কেঁদে এসেছি
কিন্তু যখন চলে যাবো
তখন তোমার হাসিখানা
সঙ্গে নিয়ে যাবো স্বার্থপরের মত।
বরাবরের মত হাসিখানা মুখে রেখেই
বিদায় দিয়ো মা এই স্বার্থপরকে!