মহা বিশ্ব জগতে এতো অন্যায় অবিচার
সব কিছু এলোমেল একটাই নাম তার আঁধার,
অন্যায় অবিচারে জর্জরিত জনপদ কোথাও নেই শান্তি
সেখানে ক্ষুধার্থ শিশু মায়ের মুখের
নিরব চাওনি তার নাম আলো ।


উত্তর মেরুর বরপাচ্ছাদিত গভীর সাগর হতে
দক্ষিণ মেরুর উত্তপ্ত বালুকণা পেরিয়ে
আবার যে শীতল প্রান্তর
যেখানে ঘটে’ই চলেছে যতো অন্যায় অবিচার
হোক না তা যতোই নগন্য হোক তা মহা যঘন্য
তার একটাই রয়েছে উপমা, আধাঁর ॥


সূর্য্যদয়ের পূর্ব হতে পশ্চিমের প্রান্তর
যেখানে মহা অভাব শান্তির,
আছে শুধু  বেঁচে থাকার আর্তি
হস্তপদ ছিন্ন-বিছিন্ন অন্ন বিহীন
অনাহারীর আর্তনাথ
মরুভূমির উষ্ণ বালুকাময়
নেই কোন আসার আলো
হাঠাৎ মেঘের গর্জনে আলোকিত
মুখে হাসি; মুখের পানে চেয়ে
হয়তোবা বৃষ্টি আসছে
মুখে ফোঁটে মৃদূ হাসি এরই নাম আলো ॥


জন্ম নিয়েছে মায়ের কোলে অনেক আশা নিয়ে
আমার সম্পদ খাচ্ছে লুটে-পুটে বর্গিরা সব মিলে
প্রতিরোধের নেই ক্ষমতা
স্বার্থ বিবেক দিচ্ছে বাধা
অন্তর জ্বালাময়ী সইতে পারিনা নিজের ভাল
মন্দকে আহবান করে
আনি সর্বনাশ করে মোরে
নিজের সাধ পূর্ণ করিঁ
ডুবছি তো মহা আঁধারে ॥


ছোট স্বার্থকে পুঁজি করি ছড়াচ্ছি মুখে বুলি
জন স্রোতে মুখে রংধুনুর রং তুলি
বর্গি এসেছে বর্গি এসেছে
সাগর ফুঁসেছে
এখনি সর্বনাশ আঁছড়ে পড়বে
করে দিবে সব ধ্বংস
যার নেই লেশ মাত্র সত্য
কিংবা সত্যের সাগ্রাহ
মুখের বুলিতে নিদ্রিত জনগন জাগ্রত
হঠাৎ দিশা পায় এটা নয় সত্যপদ
সত্য! সত্য অন্য কিছু, এরই নামই আলো ॥


যে বাণীতে জাগ্রত হলো
পৃথিবী জাগ্রত সভ্যতার
সেই আলোকে ঢেকে দিতে পারে কি কোন আঁধার
মরুবুকে জন্ম নিয়ে যে বাণী
আঁধার করেছে  দূর
সেই আলোর বিন্দুর ছটা
সমূদ্রের গভীরে সমাহিত মহা দূর
সমাহিত আলো কাটাবে আধাঁর
জ্বালাবে নতুন আলো
অবিশ্বাসী সারাক্ষণ জানেনা সে,
এইতো সে আধাঁরের বাসিন্দা ॥


হঠাৎ করে পুলকিত আলোকিত মন
গাইছে জয়ের গান বিজয়ের বেশে
পেয়েছে কি বিজয় পেয়েছে কি সুর পূর্ণিমাতে
এ বিজয় নয়তো বিজয়  
পরাজয়ের আগাম বাণী
ভয়ে ভয়ে কাঁপছে বুক তাদের
অজানা কোন শ্বাশনী ॥


তিমির রাত্রিতে সমীহর বাণী চলছে দিবা-নিশী
আকাশ বাতাশে নিবারন্ন হুঙ্কার
চাতকের মতো আশা বাণী কিনে করছি র্বহ্মচার
পড়ে আছি বালু পাথর স্তুপে
রয়েছি রণ বিজয়ের পথ আবিষ্কার
দৃষ্টিতে পেয়েছি অন্ব্যেষন আলো আর আঁধার ॥


(কবিতাটি “বিপরীত” কবিতা গ্রন্থের অর্ন্তগত)