মন, তুমি যে আমায় বিষন্ন করে দিয়ে যাও
সেকি তুমি বোঝো?
নিশ্চয়ই বুঝো না! কিন্তু আবার পরোক্ষনে আমার'ই মনে হয়; না তুমি বুঝো, এবং বুঝো বলেই আমায় বিষন্ন করে তুলো।
আমাকে কাদাও, নোনা জ্বল ছিটিয়ে আমার চোখের পাদদেশ কালো করে তোল।


আচ্ছা, তোমার কি অনুভূতির দরজা বন্ধ করে রাখ! নাকি সেটি তোমার নাই?
হয়তো কখনো আমার হয়ে অনুভব'ই করোনা-তুমি।


আমি ত ভাবি তুমি আর আমি দু'জন না!
তুমি আর আমি একজন...
কারন আমার এ দেহের কিছু হলে তুমি'ই ত সবার আগে ব্যাথা অনুভব কর। দেহের যন্ত্রনায় যে তুমি নিরবে কষ্টের মাত্রা প্রকাশ কর সেতো আমারই জানা।


আচ্ছা মন! তুমি যে আমায় রেখে চলে যাও দূর অজানায়, একা ফেলে বহু সময় অন্য ভাবনায় ব্যাকুল থাকো, এটা কি তোমার উচিৎ হয়?
তুমি যে আমায় নিরবে কান্না করাও আবার হাসাও
এই অমানবিক টর্চার যে প্রতিমুহূর্ত আমায় করছো,
তার জন্যে কি একটুও অনুসূচনা হয়না?


তোমার কাছে শেষ প্রশ্ন; আমার সাথেই তোমার সব চেয়ে বেশি সম্পর্ক, সব চেয়ে বেশি মাখামাখি। অথচ, তুমি নাকি এই ছোট ছোট অবহেলা গুলো এক করে; একসময় বড় করে আমার সাথে বিট্ট করবে। আর সেবার নাকি আমার এই যত্ন-অযত্নের দেহকে রেখে, চির তরে বিদায় নিবে।
আমায় নাকি একেবারে নিশ্ব করে ছেরে যাবে।
তাহলে কেনো আমায় ভালোবাস!
কেনোই বা এমন অতিষ্ঠ তোমার নিয়মকানুন।


আমায় কি তোমার সাথে রাখা যায়না!
যদি নাই যায়, তাহলে আর মায়া বাড়িয়ে লাভ'ই বা কোথায়? আমায় ত মুক্তি দিলেও পারো।