কবির আকাল দিনেও
কবিতার আকাল হবে না কোনদিনও
এক রকম নিশ্চিতই বলা যায় একথা;
সব শব্দের মৃত্যু হলেও
থামবে না অকবি(আমার মত)র কবিতা অযথা;


এমনি মুখরা বিজ্ঞান মনস্ক অনেক
ভাবি বিজ্ঞানী কবি লিখে চলেন
প্রাণপণ মানুষের বিশ্বাসের বিজ্ঞান..
পড়ি আর হাসি...হাসি আর পড়ি...
দূর্ঘটনাক্রমে জন্ম যাদের (তাদেরই থীওরি)
তারাই বিশ্বাস করে মৃত্যু আবশ্যকীয়
তারাই বিশ্বাস করে একটা সুচিন্তিত
বৈজ্ঞানিক কর্ম ধারায়;


অথচ বিশ্ব জগৎ সৃষ্টির পেছনে
কোন পরিকল্পনা নেই!
তাঁরাই বলে সব কিছুর একটা
বিপরীত থাকবে,তারাই বলে
সবকিছু একদিন ধ্বংস হবে এই সূর্য
একদিন লাল বামন হবে...
থার্মাল ডেথ থিওরীও বলে..
ইত্যাদি.. ইত্যাদি।


অথচ তাঁরাও বলে কোন শক্তিকেই
তারা সৃষ্টি বা ধ্বংস করার ক্ষমতা
নিজেরা রাখেন না.. শুধু রুপের পরিবর্তন
ঘটাতে পারেন!!!
(প্রশ্ন জাগে...
তাহলে কি ঐ শক্তিই স্রষ্টা? )


তবু আমাদের স্রষ্টা সৃষ্টিকে অবজ্ঞা
করেন না অথচ সৃষ্টিই অস্বীকার
করে বসে! স্রষ্টা আবার কে??..
(স্রষ্টা বলেন এই পৃথিবীতে তিনি কোন কিছুই অযথা সৃষ্টি করেন নাই)


আমি বলি এই প্রশ্ন করার ক্ষমতা
পেয়েছো তোমাকে সৃষ্টি করা
হয়েছে বলেই...
প্রশ্ন আছে বলেই 'তিনিই' তার উত্তর!
উত্তর থাকে বলেই প্রশ্নের জন্ম হয় !!
উত্তর সর্বদা আগেই থাকে শুধু তাকে
খুঁজে পেতে কিছু সময় লেগে যায়...
অনেক প্রশ্নের জন্ম হয় এক প্রজন্মে
উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হয় বহু
প্রজন্মকে...


তাই সবিস্ময়ে চেয়ে দেখি ঘন ঘন
হাত ধুয়ে বিজ্ঞান কেমন নিজেকে
পবিত্র (নিরাপদ) করে নেয়
দৃশ্যমান এক অদৃশ্য থেকে!!!


অথচ যখন কমপক্ষে পাঁচ বেলা
হাত ধোয় কিছু অবৈজ্ঞানিক মানুষ
তখন সেকেলে বিদ্রপ মুঁচকি হাসে
কিছু চোখ টেপা কটাক্ষের ঠোটে...