এক লম্বা সিঁড়ি বেয়ে
ভাবছি পাড়ি দেব চাঁদের দেশে
গভীর রাতে, চুপিচুপি একাকী
চলন্ত সিঁড়ি হলে অবশ্যই বেশ ভালো হয়।


নিছকই আবেগের বশে স্পর্ধা করেছি
গলির মোড়ের পাগলটা প্রায়ই মৃদু হাসে
অসম্ভব নয় মনের কথা চুরি করা!!
আচ্ছা,চাঁদের বুড়ি কি এখনও ব্যস্ত ঝাড়ু হাতে?
তার হাতের গরম ভাতের স্বাদই বা কেমন!
সাধারণ না একটু চাঁদনী মাখা?


খবর পেয়েছি চাঁদের মেঝে নাকি ঝকঝকে- চকচকে
মখমলের কালীনখানিরই বা করি কি?
গর্ব ছিল বাদশাহি আমলের দুষ্প্রাপ্য সম্পদ বলে
শাহজাহানের কপালেও জোটেনি যার দেখা,
সেই ফেরিওয়ালার মুখে শুনেছিলাম
তাজমহল পরবর্তীতে হাতকাটা এক শ্রমিকের
অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল ছিল কালীনখানি,
যার মাঝে সযত্নে লিপিবদ্ধ আছে তাজমহলের নকশা।
গাঁটের কড়ি ফেলে কিনেছিলাম দামি আতসকাঁচ
গোঁফের চুলে পাক ধরেছে আর চামড়ায় ভাঁজ
তবুও সাংকেতিক লিপির উদ্ধার ঢের বাকি।


মা অবশ্য প্রায়ই হাহুতাশ করে
আমার পাগলামিটা তখন নাকি লাগামহীন ছিল।
আর এখন ? কি জানি?
মায়ের মৌনব্রত কবে যে ভাঙে!!