তার মনে, সতত অভিশঙ্কার কাঁটা বিঁধেছিল
বিধাতার ভুলে অসম্পূর্ণ রূপে তার জন্ম      
দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, শরীরের অর্ধাংশের অধিকারী সে
বাকি অন্যের অর্ধাংশ জুড়েই তার পূর্ণতা।


রাতের গহীন আঁধারের প্রতিক্ষণে  
এক প্রতিচ্ছায়ার সম্মুখীন  হয়  
সদা ত্রাসিত, ভয়াতুর  অসহায় চিত্তে
নিজের কোলে মুখ রেখে আর্তনাদ করে।  


পাগলের প্রলাপে দেওয়ালে অবিরত মাথা ঠোকে
যুদ্ধ অন্তে রণে ভঙ্গের পশ্চাৎ বিধ্বস্ত, আলুথালু বেশে  
ধীরে ধীরে নিজের অর্ধাংশ সযত্নে আগলে  
বাকী অর্ধাংশের খোঁজে মনোনিবেশ করে।  


শুনশান রাস্তা, নিঝুম গলি, একাকী মন
অস্তিত্বের  খোঁজে রাতের আঁধারে বিচরণ করে  
সে যুদ্ধেও হেরে পরাজিত সৈনিকের মত ক্ষুণ্ণ মনে  
খালি হাতে, ধীরে ধীরে ঘরের অভিমুখে এগিয়ে চলে।
  
তার মনের অভিশঙ্কার কাঁটার মর্মঘাতে
গহন মনের গভীর ক্ষতবিক্ষত      
বিছানায় আনমনে মাথা-খানি দুই হাঁটুর মাঝে ভরে
ধীরে ধীরে অঘোর ঘুমের দেশে হারিয়ে যায়।