কতযুগ ধরে পথ চেয়ে বসে আছি  
সাথিহারা এক তৃষ্ণার্ত চাতকের মত
অবশেষে, অতিথি তুমি এলে দুয়ারে  
ধন্য হল মনের দুয়ার, অতিথি তোমার পদচিহ্নে      
আমি যে আজ নিঃস্ব। কি যে করি ভেবে মরি
ক্যামনে করি বরণ তোমারে?  
নেইকো সেই রাজপাট আর নেইকো সেই লোকলস্করের বহর  
হাতিশালে হাতি নেই, নেই আস্তাবলে ঘোড়াদের দল
এক টুকরো চন্দন আগলে রেখেছি সযত্নে
সোনার থালাও নেই, বাটিও যে নেই
কি করে লাগাব চন্দনের টিপ অতিথির কপালে।


অতিথি তুমি এলে
দুদণ্ড বিশ্রাম করে নাও ওই দুরের অশ্বত্থ তলে
তার শিরশিরে ঠাণ্ডা বাতাসে দূর কর শরীরের ক্লান্তি
পাশে এক জীর্ণ কুয়া অবশিষ্ট আছে এখনও
তার সুমিষ্ট  ঠাণ্ডা জলে শীতল কর তোমার হৃদয়খানি  
নিজ হাতে সযত্নে রেঁধেছি, শুধু তোমারই জন্য
কলা পাতায় বেড়ে দেব গরম গরম মোটা চালের ভাত
সাথে কচুর ঘণ্ট আর কলমি-লতার শাকের বাহারি পদ  ।


অতিথি তোমার যাওয়ার সময় কি অতি নিকটে?
কেন বারবার চেয়ে দ্যাখো ঢলে পড়া সূর্যের দিকে  
সে যে ব্যস্ত প্রকৃতির নিয়ম পালনে
কিছুদিন থেকেই যেতে পার
একান্তে, স্মৃতির অতলে নিরুদ্দেশ কিছু গল্প শোনাবো তোমাকে
তুমিও শোনাবে তোমার ছন্নছাড়া জীবনের এলোমেলো কথাগুলো  
পারবে না তোমার ভালবাসার একবিন্দু রসে
আমার ভাঙা হৃদয়খানি সিক্ত করতে?
পারবে না আরও একবার জীবনের ভালবাসার অপূর্ণ বাগানে
নতুন ভালবাসার গোলাপ প্রস্ফুটিত করতে?