মনে পড়ে প্রতি ক্ষণে শুধু বারেবার,
ধূলিকণা আর জল-কনাগুলি তাঁর-
যেন মাংস পিণ্ড আর রক্ত স্রোতাধার;
অপরূপা-রূপবতী গ্রামটা আমার ।


প্রতিটি জীব ও তাঁর বন বৃক্ষলতা,
হৃদয় পিঞ্জিরা মাঝে গেঁথে আছে সদা;
হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্ট সবে মিলে-
রকমারি কত শত খেলা গেছি খেলে ।


ডুমুর পাতায় খোঁজা টুনটুনি বাসা,
ঝিঁঝিঁর ডাকের সুরে কি মধুর ভাষা;
নদী-খাল-ডোবা ঘুরে রোদে কাটে বেলা,
বরষিতে স্বীয় মনে মাছ ধরা খেলা ।



অসামাজিক কর্মতে মিলিত প্রচেষ্টা,
চোর-ডাকু ধরে প্রাপ্য শাস্তির ব্যবস্থা;
রাস্তাধারে খাল-পাড়ে আড্ডা খেলা মাঠে,
মাতোয়ারা বন্ধু সবে   মন নৃত্য  ঘাটে ।


আজও শুনি সেই ডাক আয়ে আয়ে খোকা,
হেথা যে উৎস ছিল ওরে সোনা-বোকা;
ছেড়ে যাসনে ক্রন্দনে মহীয়সী স্বরে,
ফিরে আয় ফিরে আয় আয় মম দ্বারে ।


মনে পড়ে খুব আজ এ প্রবাসে বসে,
ছাড়নিতো জন্মভূমি কিবা যায় এসে;
আত্মগাঁথা সারকথা দেহ অন্ত ঘরে,    
ভুলিবনা ইতিকথা জন্ম-জন্মান্তরে ।।