বর্ষশেষে ঘুরে ফিরে আসে চৈত্র মাস,
সূর্যতাপে উষ্ণবানে কষ্ট নিতে শ্বাস;
অনাবৃষ্টি দাবানলে শস্যহীন মাঠ,
স্রোতহীন শীর্ণ নদী শূন্য খাল-ঘাট।


শুষ্কপত্র, ধূলিকণা ওড়ে হাহাকারে,
রৌদ্রোজ্জ্বল, অগ্নিঝরা চৈতালি দুপুরে;
রবিবরে ফুটিফাটা মাঠ জ্বলে-পুড়ে,
ধরিত্রীর  বক্ষ রক্ত ধোঁয়া  হয়ে উড়ে।


রুদ্ররোষে দুর্বিষহ ধরণীতে বাস,
সর্বত্র করে বিরাজ নিস্তব্ধতা রাশ;
তন্দ্রাবেশ ভঙ্গ যেন প্রকৃতির কর্ম,
তৃষ্ণা আর তৃষ্ণা তবু ঝড়ে চলে ঘর্ম।


জলশূন্য শস্যহীনে পশুপাখি ভোগে,
কঙ্কালসার নিস্তেজ বিপন্নতা রোগে;
শহর গ্রাম অতিষ্ঠ এ হেন দুপুরে,
জলাশয়ে দাপাদাপি শান্তি খোঁজ করে।


ঘর্মাক্ত শরীরে কেউ গাছের ছায়ায়,
দাওয়ায় মাদুরেতে কেউ নিদ্রা যায়;
রমনীরা পাখা নেড়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে,
বরষার গান গেয়ে কচি-কাঁচা ঘোরে ।


বিত্তবানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে,
রাস্তা-ঘাটে ফেরিয়ালা  পণ্য বিক্রি করে;
দুঃসহ  কষ্ট মাঝেও প্রানে স্বস্তি আসে,
ককিলের কুহু ডাক এলে কানে ভেসে ।।