অচেনা নম্বর থেকে হঠাৎ ফোন
অবাক নীরব…
সুরেলা কণ্ঠস্বর-
কি গো এতদেরি করলে কেন তুলতে ?
শরীর খারাপ করেনি তো ?
ব্রাশ-বাথরুম-ব্রেকফাস্ট হোল ?  
হ্যন  করেছ ? ত্যন করেছ ?
এমনি গোটা দশেক প্রশ্ন ঝেড়ে
থামতেই-
নীরব হোল সরব
কে বলছেন ?
শোন তুমি না নাটক করোনা…
এরপরে নিশ্চয়ই জিজ্ঞেস করবে
কে আমি তাইনা ?
নীরবের জিভে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর এনে দিল
এক নারী
যার কণ্ঠ ছাড়া আর
কিছুই লেশ মাত্র অবগত নয় নীরবের।


কৌতূহল তো বেড়েই যাচ্ছে
প্রতিটি মুহূর্ত প্রবাহে,
জানার ইচ্ছে জাগে কিন্তু
কোন কথা ছোঁয়ানো দুস্কর।
তবুও জানতে তো হবে-
আচ্ছা আমি সত্যি বলছি আপনাকে চিনি না…
শোন আর আদিখ্যেতা করতে হবে না
আমি বাড়ি থেকে বেরচ্ছি
কোথায় যাবে?
কেন বিদ্যাসাগর পার্কে-
মনে হচ্ছে এখন আর চেনই না?
নীরব একবারও জিজ্ঞেস করতে পারল না
ওই পার্কটা কোথায়, তোমারই বা নাম কি -
প্রশ্নের পরে প্রশ্ন করে যায়
উত্তর দেয় না
এমনি সে এক নারী।


নীরব রেগে বলল কে তুমি ?
আমি সত্যি বলছি তোমায় চিনি না
মেয়েটি বলল-
সারারাত শুয়েছিলে পাশে যখন
আমায় গর্ভবতী করেছিলে তখন ?
নীরব আরও রেগে তবে আমার সন্তান কোথায় ?
কেন নিজের টাকা দিয়ে অ্যাবরসন
করিয়ে সব ভুলে গেছ ?
নীরবের ধৈর্যের আর বাঁধ মানে না
আচ্ছা কবে তোমায় প্রেগন্যান্ট করে ছিলাম ?
কেন ঊনত্রিশ ফেব্রুয়ারী।
তখন নীরব বুঝল যে পনের সালে
ফেব্রুয়ারীতে ওই দিনটা  তো নেই


একি জ্বালা...
কি চাই নারী তোমার ?
তোমাকে জ্বালাতে চাই-
জ্বালাতে চাই-
গভীর ভেবে নীরব-
এতে যদি তোমার আত্মা তৃপ্ত হয়
তবে জ্বালিয়ে যাও-আমার শুভাশিস  রইল।
তবে নীরবের এটাই বোধগম্য হল
এ এক বিষময় নারী মূর্তি ।
এরপরে বারে বারে ফোন করে...
তুমি এরকম, ওরকম তোমার দেহ,লম্বা ফর্সা স্লিম-
বাড়ির পাশে খাল...
আমার বাড়ি- কখনো  চাকদা, খালের ওপারে, তোমার পাড়াতে...
নীরব মনের কৌতূহল কে নিয়ন্ত্রিত করে
বলে যাক ভুলভাল যা ইচ্ছে খুশি
ভাব দেখিয়ে যাব যেন সত্যি জ্বলছি......
এমনি চলছে...
জানি না আরও কতদিন...
করে যাব এই জোনাকি জ্বলার-
         অভিনয় ।