মুচকি হাসিতে ওরা বলে আমি কবি !
ছন্দহীন লেখা তাই নিয়ে বাড়াবাড়ি;
তুলেছে মূর্খকে শিরে উপহাস করে,
লাইন কয়েক লিখে কবির আসরে।


প্রকাশকের মস্তিস্ক চিবিয়ে যে খায়,
মরিয়া হয়ে কবির সিংহাসন চায়;
লিখলে সাদা কাগজে মাথা-মুণ্ড ছাই,
অট্টহাস্যে কেউ বলে কবি গুরু দুই’!


প্রকাশক বলে ডেকে পরিচিতি চাই ?
কেন হতে হবে বাছা কবি তোর ভাই ?
কত শত পথ আজ উন্মুক্ত রয়েছে-
দিতে পার বিজ্ঞাপন ছবিটা ছাপিয়ে।



গুরুমাতা বলে ওরে বেশি বই পড়,
সেকেলে ভাষার শব্দ পরিহার কর;
লেখার ক্ষমতা বাড়া, রীতি নীতি মেনে,-
জীবনে এগোতে হবে বহুদূর পানে।


প্রাঞ্জল ভাষাতে লেখ  বোধগম্য করে,
ভাবের উপরে রাখ স্বীয় লক্ষ্য ধরে;
ছন্দ-অলংকার–মাত্রা নাহি কিছু এলে,-
আজেবাজে লেখালেখি ফেলে দে রে ঠেলে।


উপহাস শত ওরা করুক প্রকাশ্যে,
ধরেছি লেখন আমি ছাড়ি কি ভাষ্যে ?
ছন্দ-ভাব-অলংকার নাহি থাকলেও –
মনভাষা যাব লিখে সততবিরত।।