চলন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের জানালায়
এক ঝলক —
কয়েক সেকেন্ডের আলো।
এক অপরিচিতা,
প্রজাপতি চোখ,
নাম জানি না, ভাষা জানি না...
তবু — তবুও, হৃদয়ের গভীরে
তাকে বেঁধে ফেলেছি এক অনন্ত মায়ার মালায়।
চোখে ছিলো রূপকথার বাস
ঠোঁট যেনো নদীর স্রোত, শিশিরভেজা গোলাপ;
চুলে ছিলো ঝরা পাতার ঘ্রাণ,
আমি তাকালাম —
পৃথিবী থেমে গেলো,
বয়ে গেলো নিঃশব্দ ভালোবাসার ইতিহাস।
নাম জানতে পারিনি।
কথা বলতে পারিনি।
শুধু হারিয়ে গেছি সেই চাহনির মেঘে,
সেই অল্প আলোয় ডুবে,
জীবনটা আটকে গেছে সেখানেই।
জীবনটাকে ছেড়ে দিয়েছি এক অজানা নীরব বন্ধনে।
বিয়ে করিনি।
কারণ কারো চোখে আর খুঁজে পাইনি
সেই আগুনের মিঠে দহন।
কাউকে আর খুঁজে পাইনি,
সেই কয়েক সেকেন্ডের মুগ্ধতার মতন।
সেই কয়েক সেকেন্ডের বিস্ময়ে,
আমি আজীবন পুড়ছি এক জটিল অগ্নিস্নানে।
শেষ শ্বাসের আগে...
আর একবার যদি... তাকেই দেখতে পেতাম!
নামহীন সেই অপরাজিতাকে,
ট্রেনের জানালায় যাকে দেখেছিলাম খালি চোখে।
শেষ স্বপ্ন আমার —
জান্নাতের কোনো বাগানে,
ফুলের কলরবে , বৃষ্টির ছায়ায়,
মনভরে, অপলক, একশো কোটি বছর ধরে —
শুধু তাকিয়ে থাকবো তার দিকে,
কথাহীন... ছোঁয়াহীন...
শুধু দৃষ্টির ছায়ায় ছুঁয়ে যাবো —
আবার, আবার, আবার...।