তোমার কন্ঠে প্রাণ পেয়ে সজীব হতো অজস্র কবিতা।
নান্দনিকতায় পরিপূর্ণ ছিল তোমার উপস্থাপনা,
জানালে অনেককিছু যা ছিল অচেনা-অজানা,
চাইলেই ভোলা অসম্ভব সেই মুখনিঃসৃত অমৃত বারতা।।


সঠিক আর মনোমুগ্ধকর শব্দচয়ন নিত্য সঙ্গী যার, সেইতো হতে পারে সহজে শুদ্ধতার একমাত্র বাহক,
আমরা প্রাপক আর তুমি ছিলে শুদ্ধতার প্রেরক,
চিরকাল  চলবেই আলোকিত মানুষের জয়জয়কার।।


তোমার মত সন্তান গড়ে তোলা চারটিখানি কথা নয়।
শিক্ষা-দীক্ষা, চাকরি-বাকরি অনেকের কাছে আছে,
তোমার স্বকীয়তার বলে তুমি গুণী ছিলে এদের কাছে,
লজ্জিত শিহরণে ভেঙে চুরমার হতো কত না হৃদয়।।


মনে পড়ে খুব বেশি সেই কথা 'দাদা দারূণ গেয়েছো'।
ভাবিনি এত তাড়াহুড়ো করবে অমৃতলোকের জন্য,
মন্ত্রমুগ্ধ দর্শক শ্রোতা সত্যিই আজ শোকাচ্ছন্ন,
ভাবতে দারুণ কষ্ট হয় কি দিয়েছো আর কি পেয়েছো।।


বলছি এক নিপুণ শব্দযোদ্ধা সুমন বিশ্বাস দাদার কথা।
সে ছিল সদা অন্যকে বৈচিত্র্যময় করার কারিগর,
অতি সামান্যজন জানে করতে এমন প্রতিভার কদর,
ঐ কন্ঠস্বরে দূরীভূত হোক অমৃতলোকের যত ব্যথা।।