সেই কালো চশমা,সেই কলম,সেই ঘড়ি আর সেই মুখ।
অস্তিত্ব খুঁজে পেয়ে একদা উল্লাস করতো চঞ্চল মন,
কোলে করে ঘুম পাড়ানোর স্মৃতি রোমন্থনেই যত সুখ।


স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে হাটে যাওয়ার প্রচন্ড পাগলামি।
ছেলের আগে বাবা খাবার খেতো না কোনোদিন,
মনসা পুঁথি পাঠের আসরে বাবার সঙ্গী থাকতাম আমি।


রাত যতই হোক যখনি ডাকতাম বাথরুমে নিয়ে যেতো।
রাগ করবো বলে লুকাতো যত অভিমান সঙ্গোপনে,
চলার পথে যত কষ্ট কেবল বাবাতেই সীমাবদ্ধ থাকতো।


সন্ধ্যাবেলা বাড়ি ফিরতে দেরি হলে কি যে অস্থির হতো।
পড়ার টেবিলে মনোযোগ দিতে আদরের সীমা ছিল না,
এটা ওটা হাজারো বায়না বাবাতেই পরিপূর্ণতা পেতো।


তারুন্যে স্বপ্নময় জগতের সৃষ্টি বাবার হাত ধরেই হয়।
দূর্লভ মনুষ্য জনমে সন্তানের কাছে বাবা জীবন্ত দেবতা,
অখন্ড ব্রহ্মান্ডে পিতৃ ঋণ শোধ করা কভু সম্ভব নয়।