স্বগর্বে গর্জন করে সর্বদা মঞ্চে উপবিষ্ট চট্টলার ব্যাস।
তত্ত্ব কথার ফুল ঝুড়ি নিয়ে সদা আগমন তাঁর,
সকলের দৃষ্টি যাঁর দিকে সেই বিষ্ণুপদ সরকার,
বজ্রকন্ঠ আর সুরের মূর্ছনায় মোহিত করা তাঁর অভ্যাস।


সুগভীর জ্ঞান সঙ্গে নিয়ে চলছে অনেকেরই জীবন রথ।
জ্ঞানের মাধুর্যময় বিতরণে বিষ্ণুপদ তুলনাহীন,
তুখোড় পরিবেশনা সঙ্গে নিয়ে বহু নবীন প্রবীণ,
ক্লান্তি আজ নিহত রুদ্ধ করতে এই কীর্তনীয়ার গতিপথ।


সেই ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি তাঁর সারগর্ভ বাণী।
বহুস্থানে বহুজনে সুনিশ্চিত সুপরিচিতি তাঁর,
লোকজ সংস্কৃতিতে খুলেছে সে আভিজাত্যের দ্বার,
তাঁর মুখেই নিরাপদ পূজনীয়দের অপূর্ব জীবনকাহিনী।


নান্দনিক অভিনয়ে মুগ্ধ করে শাস্ত্রের যে কোনো চরিত্র।
নিগুঢ় রহস্য উদঘাটন করতে যাহা কিছু প্রয়োজন,
এই গুনী কবিয়াল করে সে সবকিছুর সাদর সম্ভাষণ,
যে স্থানে চলে তাঁর কীর্তন সে স্থান স্বল্প সময় হয় পবিত্র।


এমন বরণীয় জনের জন্ম দিয়ে মাতা-পিতা সত্যিই ধন্য।
বারেবারে আসে না বিষ্ণুপদের মত বিজ্ঞ জন,
সময়ের বিবর্তনে হঠাৎ উন্মোচিত কোনো কোনো জন,
প্রণমী যুগল চরণ তাঁর অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য।