'হে রাজন, নাই.., নাই.., নাই.., কুরুকুলরবি আর নাই।
এক্ষনে গেল অস্তাচলে, এই মায়া ভূমন্ডলে',
শুনে মশাল হাতে অগ্নিমূর্তিতে সুবল কন্যা দৌঁড়াই।।


রাজার নন্দিনী,রাজার ঘরণী,শতপুত্রের জননী সে হয়।
চির-অন্ধ তাঁর স্বামী,স্বেচ্ছায় অন্ধত্ব নিলো সে জননী,
লাল কাপড়ে দু-চোখ বেঁধে সাধন পথ রচিলো বসুধায়।।


বিগত ঊনপঞ্চাশ জনমের কথা তাঁর মনে গাঁথা আছে।
এমনি দুর্লভ জাতিশ্বরী,ত্রিভুবনে যাঁর নেইকো জুড়ি,
'গান্ধারী' নাম ধরে ঐতিহাসিকভাবে সমুজ্জ্বল রয়েছে।।


সতীত্বের গুনে জনার্দনও অভিশাপ মাথা পেতে নিল।
যুদ্ধে যাবার প্রাক্কালে, নিজপুত্র সাক্ষাৎ করতে গেলে,
'যথা ধর্ম তথা জয়' এই মন্ত্র তাঁর মুখে সকলি শুনিল।।


শতপুত্রদের কুকর্ম মা গান্ধারীর অজানা কিছুই নয়।
তবুও মা বলে কথা,মাতৃস্নেহ ভরানদে ভাসলো মমতা,
একে একে শতপুত্রের নিধন সংবাদ শোনালো সঞ্জয়।


সর্বশেষ পুত্র নিধনের সাথে সাথে মশাল হাতে নিলো।
হায় পুত্র হায় পুত্র বলে, ভাসলো মাতা নয়ন জলে,
গান্ধাররাজ কন্যা নিয়তির কাছে পরাজিত হলো।।